Kolkata Organ Donation: মৃত্যুর পরেও পেশার ধর্ম পালন, চিকিৎসকের অঙ্গদানে পুনর্জীবন পাচ্ছেন একাধিক রোগী
Kolkata News: কোনও রোগীকে ব্রেনডেড ঘোষণা করতে হলে, অন্তত তিন-চার বারে তা করতে হয়, এক বারে হয় না।
ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: পেশার সুবাদে জীবন-মৃত্যু কাছ থেকে দেখেছেন। সেবা করেছেন অসংখ্য মানুষের। নিজের মৃত্যু দিয়েও অন্যকে জীবন ফিরিয়ে দিয়ে গেলেন শহরের চিকিৎসক। ব্রেনডেড অবস্থা থেকে ফেরানো সম্ভব হয়নি তাঁকে। তাই পরিবারের সদস্যরা তাঁর অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেন (Organ Donation)। তাতেই জীবন রক্ষা হচ্ছে অনেকের। তাঁর দুই কিডনি, লিভার এবং কর্নিয়া প্রতিস্থাপিত করা হচ্ছে।
বিদায়বেলাতেও নজির
পেশায় চিকিৎসক ৪৩ বছরের সংযুক্তা শ্যাম রায়ের অঙ্গ প্রতিস্থাপিত হতে চলেছে। এনআরএস প্রাক্তনী সংযুক্তা অ্যাপোলো হাসপাতালে কনসালট্যান্ট অ্যানাস্থেটিস্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন (Kolkata News)। শনিবার আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় বাড়িতে পাওয়া যায় তাঁকে। সেখান থেকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় প্রথমে।
কিন্তু সংখানেও সংজ্ঞা ফেরেনি তাঁর। CPR দিয়ে কোনও রকমে হৃদস্পন্দনই যা ফেরানো সম্ভব হয়। সেই অবস্থায় অ্যাপোলো হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় সংযুক্তাকে। কোনও কিছুতেই তাঁকে ফেরানো সম্ভব না হওয়ায়, রবিবার থেকে তাঁকে ব্রেনডেড ঘোষণা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
কোনও রোগীকে ব্রেনডেড ঘোষণা করতে হলে, অন্তত তিন-চার বারে তা করতে হয়, এক বারে হয় না। স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের প্রযবেক্ষণেই গোটা বিষয়টি সম্পন্ন হয়। কারণ ব্রেনডেড ঘোষিত রোগীর শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ সচলই থাকে।
আরও পড়ুন: Behrampore Murder: পুলিশি জেরায় হাসতে হাসতেই সুতপাকে খুনের কথা বলল সুশান্ত, করল আরও চাঞ্চল্যকর দাবি
সব প্রক্রিয়া মেনে মঙ্গলবার রাতে সংযুক্তাকে ব্রেনডেড ঘোষণা করা হয়। তাতেই তাঁর অঙ্গ দান করার সিদ্ধান্ত নেন পরিবারের লোকজন। সেই মতো বুধবার সকাল ৬টা থেকে সংযুক্তার শরীর থেকে অঙ্গ সংগ্রহ, চিকিৎসার ভাষায় যা অর্গ্যান হারভেস্টিং নামে পরিচিত, সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এসএসকেএম, নাগেরবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি এবং অ্যাপোলোতেই ভর্তি এক লিভার গ্রহীতার শরীরে সংযুক্তার অঙ্গ প্রতিস্থাপিত করা হবে।
গ্রিন করিডর গড়ে নিয়ে যাওয়া হবে অঙ্গ
সেই মতো গ্রিন করিডরের ব্যবস্থা করা হয়েছে (Green Corridor)। সূক্ষ্ম প্রক্রিয়ায় অস্ত্রোপচার করে শরীরে থেকে অঙ্গ বার করে, তা নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া হবে। ২০১৭ থেকে বাংলায় অঙ্গ প্রতিস্থাপনের একাধিক সফল উদাহরণ উঠে এসেছে। কিডনি এমনকি হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনেরও নজির গড়েছেন শহরের চিকিৎসকরা। করোনাকালে ফুসফুস প্রতিস্থাপনেও উদ্যওগী হন তাঁরা। তবে তা সফল হয়নি। ব্রেনডেড রোগীদের অঙ্গদানবে উৎসাহিত করে থআকেন চিকিৎসকেরা।