Dengue Update: ডেঙ্গি মোকাবিলায় হাসপাতালে ৩০০ বেডের ব্যবস্থা কলকাতা পুরসভার
Hospital Dengue Bed Increases: ডেঙ্গি রুখতে শহরের কোন কোন হাসপাতালগুলিতে বেড বাড়াচ্ছে কলকাতা পুরসভা ? দেখুন একনজরে
কলকাতা: শহরে ক্রমশ ভয়াবহ আকার নিচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue)। যার জেরে আর ঝুঁকি না নিয়ে এবার হাসপাতালে বেড বাড়াচ্ছে কলকাতা পুরসভা (KMC)। ডেঙ্গির জন্য হাসপাতালে ৩০০ বেডের ব্যবস্থা করছে কলকাতা পুরসভা।
জানা গিয়েছে, 'খিদিরপুরে কলকাতা পুরসভার হাসপাতালে বেড বেড়ে হচ্ছে ১০০। সেন্ট্রাল অ্যাভেনিউয়ে ইসলামিয়া হাসপাতালেও ডেঙ্গির জন্য ২০০টি বেড।' ৭ থেকে ১০দিনের মধ্যে হেল্পলাইন নম্বর চালু করছে কলকাতা পুরসভা। বেসরকারি হাসপাতালে কোথায় বেড খালি, জানতে আধিকারিকদের নির্দেশ। যদিও গতকাল ফিরহাদ অভয় দিয়ে বলেছেন, 'ডেঙ্গি এখনও অত্যন্ত নিয়ন্ত্রণে', যার কৃতিত্ব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলে জানিয়েছেন তিনি।
ফিরহাদের কথায়, 'ডেঙ্গি হল ন্যাচেরাল ক্যালামেটি (Natural Calamity)। ডেঙ্গি এই পরিস্থিতিতে আমরা যেখানে থাকি, সেখানে আছে। থাকবে। ম্যালেরিয়া-ডেঙ্গি ১০০ বছর আগেও ছিল। ১০০ বছর পরেও থাকবে। যেখানে আমাদের এই শহরে আদ্রতায় ভরা আবহাওয়া, সেখানে বাংলায় সবথেকে ভাল ব্যবস্থা হয়েছে। তবে এমন অনেক জায়গা আছে, বিশেষ করে কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থাগুলিতে, আদালতের চত্বরেও ডেঙ্গির লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে, সেই কারণ আমাদের একটু অসুবিধা হচ্ছে। ডেঙ্গি এখনও অত্যন্ত নিয়ন্ত্রণে, এবং তার কৃতিত্বটা স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।'
ডেঙ্গি নিয়ে (Dengue Situation) ক্রমশ উদ্বেগ বাড়ছে গোটা রাজ্যে। সম্প্রতি কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'মশা অতি অবুঝ প্রাণী। মানুষের মধ্যে জন্ম নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যত সহজে সচেতনতা প্রচার করা যায়,মশার মধ্যে তত সহজে প্রচার করা যায় না।' তাঁর মতে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে সবরকম ভাবে চেষ্টা করছে পুরসভা ও প্রশাসন। তিনি বলেন, 'ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন, রাজ্য সরকার, পুরসভা সবটাই করছে। আমরা যারা সাধারণ নাগরিক তাঁদের কিছুটা কর্তব্য রয়েছে। বাড়িতে, বাগানে, ছাদে জল জমিয়ে রাখবেন না। প্রত্যেকটা ছাদ সরকারের পক্ষে দেখা সম্ভব নয়। ফলে এ ব্যাপারে সরকার এবং নাগরিক হাতে হাত মিলিয়ে করতে হবে।'
আরও পড়ুন, 'রাজ্য় সরকার উদাসীন', মশার মারার স্প্রে হাতে রাস্তায় নামলেন অধীর
রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে বলে অভিযোগ। ডেঙ্গি সংক্রমণের কারণে মৃত্যুর (Dengue Death) সংখ্যা নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি মতে বিরোধ হয়েছে। সরকারি মতের থেকে অনেকবেশি পরিসংখ্য়ান বেসরকারি মতে। এই আবহে কুণাল ঘোষের দাবি, 'অন্য রাজ্য এবং বাংলাদেশ থেকে বহু ব্যক্তি আক্রান্ত হয়ে এখানকার হাসপাতালে এসে ভর্তি হচ্ছেন। ফলে পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে এখানে কিছু সংখ্যা কিন্তু তাঁরা আক্রান্ত হয়ে আসছেন অন্য জায়গা থেকে।'