Fake Medicine: জাল ওষুধ কিনে গেছেন আপনিও? আশঙ্কার মাঝেই উদ্বেগ প্রকাশ ওষুধ ব্যবসায়ীদের
Kolkata News: ভবানীপুরে গোডাউন থেকে যেসব ওষুধ উদ্ধার হয়েছে, তার বেশিরভাগই ক্যানসার ও ডায়াবিটিসের মতো রোগের।
কলকাতা: কলকাতায় জাল জীবনদায়ী ওষুধের চক্রের পর্দাফাঁস। উদ্ধার হয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার জাল ওষুধ। আর এই খবর সামনে আসার পর থেকেই তীব্র আতঙ্কে ভুগছেন সকলে। তবে কি দিনের পর দিন হাজার হাজার টাকা খরচ করে জাল ওষুধ কিনে গেছেন আপনিও?
এই আশঙ্কার মাঝেই চূড়ান্ত উদ্বেগ প্রকাশ করছেন ওষুধ ব্যবসায়ীরা। ধন্বন্তরী গ্রুপের এমডি রাজেন্দ্র খান্ডেলওয়াল বলেন, "যেহেতু একাধিক দোকানে আমাদের মেডিসিন চেন রয়েছে তাই আমরা এটা শুনে অবাক। আমরা উদ্বিগ্ন। সন্দেহ মাঝে মাঝেই হয় যে এরকম একটা চক্র চলছে। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার যে পদক্ষেপ করেছে তাকে সাধুবাদ জানাই।'' ভবানীপুরে গোডাউন থেকে যেসব ওষুধ উদ্ধার হয়েছে, তার বেশিরভাগই ক্যানসার ও ডায়াবিটিসের মতো রোগের। প্রায় ঘরে ঘরে এই মুহূর্তে যে ওষুধগুলির চাহিদা তুঙ্গে। যে গোডাউনে হানা গিয়ে জাল ওষুধগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তার কয়েকশো মিটারের মধ্যে রয়েছে একাধিক ওষুধের দোকান। এমন কারবার যে সেখানে চলছে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি তারা। এপ্রসঙ্গে ক্যালকাটা কেমিস্ট কর্নারের কর্ণধার বলছেন, "এই যে ওষুধ বাজেয়াপ্ত হয়েছে সেটা আমাদের মূল কার্যালয়ের কাছেই। সন্দেহ হয়েছিল যখন ড্রাগ কন্ট্রোলের আধিকারিক কিছুদিন আধিকারিক ফোন করেছিলেন জায়গা সম্পর্কে জানতে। নির্দিষ্ট সংস্থার নাম করে কোয়ারি।এরকম যদি ভবানীপুরের মতো জায়গায় চলতে থাকে, সেটা ভয়াবহ।''
মেসার্স কেয়ার এন্ড কিওর ফর ইউ নামে যে সংস্থার বিরুদ্ধে জাল ওষুধের কারবারের অভিযোগ উঠেছে, তার কর্ণধার অরুন্ধতী রায়চৌধুরী ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, বাড়িতে একাই থাকতেন তিনি। বাড়িতে রয়েছে সারমেয়। রয়েছে পাখিও। অর্থের অভাবও ছিল না। কোনওদিন এই কারবারের কথা টের পাননি আশপাশের বাসিন্দারাও। প্রতিবেশী শুভজিৎ দত্তর কথায়, "ড্রাগ কন্ট্রোল যখন অভিযানে আসে আমাদের বাড়িতে এসেই জিজ্ঞেস করেছিল ওদের বাড়িটা কোথায়। প্রচুর ডেলিভারি বয় দাঁড়িয়ে থাকত বাড়ির সামনে। সারাদিন দাড়িয়ে থাকত। পরে জানতে পারলাম অনলাইনে ব্যবসা করত।''
কিন্তু এই জাল ওষুধ খেলে কী ধরণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে? স্টেট ড্রাগ কন্ট্রোলের প্রাক্তন ডিরেক্টর কৃষ্ণাংশু রায় বলেন, "যদি ক্ষতিকারক বস্তু মেশানো থাকে, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। ক্যাপসুলের ভিতর যদি চকের গুড়ো বা ধুলো থাকে, কোনও ওষুধই না থাকে, তাহলে রোগীর কোনও উপকারই হবে না। অসুখটা বাড়তে থাকবে। আর যদি কোয়ান্টিটি কম থাকে তাহলে ওষুধে কোনও কাজই হবে না।''
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।