Crime News : শোভাযাত্রা থেকে চকোলেট বোমা, প্রতিবাদ করতেই প্রবল 'মার', মহিলার 'শ্লীলতাহানি, ধর্ষণ-হুমকি'
শোভাযাত্রা থেকে, চকোলেট বোমা ছোড়ার প্রতিবাদ করায় দম্পতিকের কপালে জুটল বেধড়ক মার, হুমকি। শ্লীলতাহানিও করার অভিযোগ উঠল এলাকারই ছেলেদের বিরুদ্ধে।

সন্দীপ সরকার, কলকাতা : আইন আছে। পুলিশ আছে। কিন্তু, তাতে থোরাই কেয়ার! কালীপুজো এবং তারপরও, বিভিন্ন জায়গায় পিলে চমকানো শব্দে দেদার ফেটেছে বাজি! আর সেই শব্দবাজির সামান্য প্রতিবাদ করাই কাল হল গড়িয়ার দম্পতির। শোভাযাত্রা থেকে, চকোলেট বোমা ছোড়ার প্রতিবাদ করায় দম্পতিকের কপালে জুটল বেধড়ক মার, হুমকি। শ্লীলতাহানিও করার অভিযোগ উঠল এলাকারই ছেলেদের বিরুদ্ধে।
ভাইফোঁটার রাতে গড়িয়ার লক্ষ্মীনারায়ণ কলোনির ঘটনা। কালীপুজোর প্রতিমা নিরঞ্জনের শোভাযাত্রা থেকে, চকোলেট বোমা ছোড়ার প্রতিবাদ করায় দম্পতিকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার রাত তখন সাড়ে ১১টা থেকে ১২ টা। এলাকার ঠাকুর নিরঞ্জন দেখার জন্য পথের দুপাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন স্থানীয়রা। শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া বেশিরভাগই ছিলেন মত্ত, অভিযোগ নিগৃহীত দম্পতির।
বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় শোভাযাত্রা থেকে উড়ে আসে একটি চকোলেট বোমা। প্রতিবাদ করেন মহিলা। অভিযোগ, তখনই উন্মত্তের মতো ছুটে আসে শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া ছেলের দল। দিকবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে দম্পতিকে রাস্তায় ফেলে মারধর শুরু করে দেয় তারা। দম্পতির ১৪ বছরের সন্তানের সামনেই গলা চেপে ধরা হয় মায়ের। মহিলার স্বামীকেও এলোপাথাড়ি মারধর করা হয় বলি অভিযোগ। বেধড়ক মারধর ও হুমকির পর প্রাণে বাঁচতে তাঁরা ঢুকে পড়েন ফ্ল্যাটে। কিন্তু তাতেও ছাড় পাননি। প্রাণ বাঁচাতে ফ্ল্যাটে ঢুকলে, সেখানেও ফের হামলা করা হয়। অভিযোগ, কোলাপসিবল গেট ভেঙে সোজা ৩ তলার ঘরে চলে আসে হামলাকারীরা। টেনে সিঁড়িতে নামানোর চেষ্টা করা হয় মহিলাকে। শ্লীলতাহানিও করা হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত মহিলা বিশেষভাবে সক্ষম ছাত্রছাত্রীদের পড়ান।
সেইসময় চলে গেলেও, এরপর, নিচের রাস্তা থেকেও ফ্ল্যাট লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। সঙ্গে ছোড়া হয় চকোলেট বোমা। বেশ কিছুক্ষণ এমন হামলার পর চলে যায় হামলাকারীরা। আক্রান্ত দম্পতির দাবি, এইসময়, নেতাজি নগর থানায় ফোন করেও না পাওয়ায় ১০০ নম্বরে ডায়াল করা হয়। অভিযোগ, এমনকী বাঘাযতিন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে গেলে, সেখানেও পুলিশের সামনে হুমকি দেয় হামলাকারীরা। ইমার্জেন্সির দরজা আটকে দাঁড়ায় তারা। সঙ্গে ক্রমাগত হুমকি দেওয়া চলতে থাকে। মেডিক্যাল পরীক্ষা না করানোর চাপ দিতে থাকে অভিযুক্তরা। আতঙ্কে কাঁপতে থাকেন তাঁরা।
ওখানে দাঁড়িয়ে ফের ১০০ নম্বরে ডায়াল করায় বাহিনী সমেত হাজির হয় পুলিশ। তারাই এসকর্ট করে নিয়ে যায় এম আর বাঙুর হাসপাতালে।






















