Kolkata Jagannath Temple: মহাসমারোহে বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা, কলকাতায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন
Kolkata News: কলকাতায় নতুন জগন্নাথ মন্দির। ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দপুরে উদ্বোধন হল এই মন্দিরের। রবিবার থেকে শুরু হয়েছিল যজ্ঞ।

অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: এবার খাস কলকাতায় মিলবে জগন্নাথদেবের দেখা (Kolkata Jagannath Temple)। সোমবার মহাসমারোহে হল বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা। উদ্বোধন উপলক্ষে মৃত্যুঞ্জয় যজ্ঞ আয়োজন করা হয় সোমবার।
জগন্নাাথ মন্দিরের উদ্বোধন: কলকাতায় নতুন জগন্নাথ মন্দির। ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দপুরে উদ্বোধন হল এই মন্দিরের। রবিবার থেকে শুরু হয়েছিল যজ্ঞ। ভোররাতে জগন্নাথদেবের বিগ্রহে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। সোমবার উদ্বোধন উপলক্ষে মৃত্যুঞ্জয় যজ্ঞ করা হয়। পুরী থেকে এসেছেন সেবায়েতরা। ভিডিও কনফারেন্সে গোটা প্রক্রিয়া দেখভাল করেন রাজেশ দ্বৈতাপতি।
রাজস্থানের জয়সলমের থেকে বেলেপাথর এনে মন্দির তৈরি করা হয়েছে। ১০ কাঠা জায়গায় ৫৫ ফুট উঁচু মন্দিরের মাথায় লাগানো হয়েছে ধ্বজা। বাইরে অরুণ স্তম্ভ। ভিতরে গরুড় স্তম্ভ। রয়েছে নবগ্রহের মূর্তি। পুরী থেকে আনা নিমকাঠে তৈরি জগন্নাথ এখানে একা, তাই তিনি নীলমাধব। মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, শতাব্দী রায়, মালা রায় থেকে শুরু করে অরিন্দম শীল, সোহিনী সরকারের মতো রুপোলি পর্দার ব্যক্তিত্বরা। জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে পোলাও, আলুর দম, পনির, চাটনি, পাঁপড় পরিবেশন করা হয়।
গত ৩০ এপ্রিল অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করা হয়। দিঘা রেল স্টেশনের একেবারে কাছে মাথা তুলেছে জগন্নাথ মন্দির। ২০ একর জায়গার ওপর, মন্দির নির্মাণ করেছে হিডকো। খরচ হয়েছে প্রায় আড়াইশো কোটি টাকা। জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পর তার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে ইসকনের হাতে। পুরীর মন্দিরের মতোই, দিঘার জগন্নাথ মন্দিরেও ৪টি দুয়ার। মন্দিরের মূল ফটক দিয়ে ঢোকার পর, প্রথমেই পড়বে দীপস্তম্ভ। তারপর অরুণ স্তম্ভ। অরুণ দুয়ার পার করে, একটু এগোলেই, সামনে পড়বে সিংহ দুয়ার। সিংহ দুয়ারের ঠিক উল্টোদিকে ব্য়াঘ্র-দুয়ার। মন্দিরের দিকে মুখ করে দাঁড়ালে, বাঁ হাতে পড়বে হস্তি দুয়ার। আর ডানদিকে, অশ্ব দুয়ার। পুরীর মন্দিরের মতোই, এখানেও মূল মন্দিরের ৪টি ভাগ। গর্ভগৃহ, তার সামনে জগমোহন, তারপর নাটমণ্ডপ এবং তারপর ভোগমণ্ডপ। মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে আলো দিয়ে সাজানো দিঘা। ভেতরে ও বাইরে বসার জন্য তৈরি হয়েছে পার্ক। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মতোই, এখানেও প্রতিদিন ধ্বজা উত্তোলন হয়। উদ্বোধনের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন মন্দিরের ছবি ও প্রসাদ বিলি করা হবে রাজ্যের সব জেলার বাড়িতে বাড়িতে।






















