Kolkata News: গিরিশ পার্কে পুরনো বাড়ির একাংশ ভেঙে বিপত্তি
Girish Park House Collapsed: পুরনো বাড়ির বিপজ্জনক অংশ পুরসভার কর্মীরা ভাঙার সময় বিপত্তি ঘটে।
কলকাতা: গিরিশ পার্কের বলরাম দে স্ট্রিটে পুরনো বাড়ির একাংশ ভেঙে বিপত্তি। পুরনো বাড়ির বিপজ্জনক অংশ পুরসভার কর্মীরা ভাঙার সময় বিপত্তি ঘটে। পুরনো বাড়ির একাংশ ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাশের বাড়ির একাংশ।
প্রসঙ্গত, একুশ সালে ভেঙে পড়তে শুরু করেছিল পাঁচতলা বাড়ির বিভিন্ন অংশ। রাতভর বৃষ্টির জেরে কালে ফের বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়েছিল। কলকাতায় ফের বিপজ্জনক বাড়িতে ফিরে এসেছিল বিপদ। এবার বড়বাজারের পোস্তায়। ১৩৮ নম্বর কটন স্ট্রিটের পাঁচতলা বাড়িতে পুরসভার তরফে আগেই ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিপজ্জনক নোটিস। বাড়ির বিভিন্ন অংশ ভেঙে পড়তে শুরু করেছিল তারপর। ওই বাড়িতে ঝুঁকি নিয়ে এরপরেও রাত কাটাচ্ছিল কয়েকটি পরিবার। এরপর ফের ভেঙে পড়েছিল বাড়িটির একাংশ। এরপরই পুলিশ বিপজ্জনক ওই বাড়ি থেকে আবাসিকদের বের করে দিয়েছিল।
তবে পুরনো বাড়ির ভেঙে পড়ার পাশাপাশি এর আগে আরও একটা বড় ইস্যুতে ঘুম উড়েছিল উত্তর কলকাতার বাসিন্দাদের। কারণ মেট্রোর কাজে ফাটল ধরেছিল একাধিক বাড়িতে। বাইশ সালে বউবাজারে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সুড়ঙ্গে জল ঢোকা বন্ধ হয়েছিল। মেট্রো সূত্রে খবর এসেছিল, নতুন করে মাটি ক্ষয় হয়নি। ওই এলাকায় তখন চলছিল মাটির শক্তি বাড়ানো অর্থাৎ গ্রাউটিংয়ের কাজ। অন্যদিকে, বিপদের আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই বউবাজারের ওই এলাকা থেকে দেড়শোরও বেশি বাসিন্দাকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বউবাজারে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো বিপর্যয় নিয়ে বারংবার নবান্নে বৈঠক বসে।
মেট্রোর কাজের জন্য পরপর বাড়িতে ফাটলে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল বউবাজারে। সুড়ঙ্গে জল ঢোকা বন্ধ হলেও আতঙ্কে ছিল মদন দত্ত লেনের বাসিন্দারা। বাড়ির কী অবস্থা? হোটেল থেকে বারবার ছুটে আসছেন ঘরছাড়ারা। কবে আবার বাড়ি ফিরতে পারবেন? দুশ্চিন্তায় ছিল বউবাজারের বাসিন্দারা। টানেলে জল ঢোকা বন্ধ করে গ্রাউটিংয়ের কাজ চালাচ্ছিল কেএমআরসিএল।
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
২০১৯-এর ৩১ অগাস্ট। বউবাজারের দুর্গাপিতুরি লেন, স্যাঁকড়াপাড়া লেনে বিকট শব্দে ভেঙে পড়েছিল একাধিক বাড়ির অংশ। বিপর্যয়ের মুখে পড়ে বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল বাসিন্দাদের। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ চলার সময় এই বিপর্যয় ঘটেছিল। এরপর গত ১১ মে দুর্গাপিতুরি লেনের কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছিল। সে সময় ২২টি পরিবারকে ঘর ছাড়তে হয়েছিল। ৮-১০টি বাড়িতে ফাটল ধরা পড়েছিল। শুধু বাড়ি নয়, রাস্তাতেও দেখা দিয়েছিল ফাটল। তারপর ভোররাতে দুর্গা পিতুরি লেনের পাশের গলি মদন দত্ত লেনে একাধিক বাড়িতে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছিল। এলাকাজুড়ে বারবার এমন ঘটনা ঘটনায় আতঙ্কে ঘুমে উড়েছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের।