KMC News: উন্নয়নমূলক কাজের সময়-সারণী প্রকাশ করবে পুরসভা, অগ্রগতির হালহকিকত দেখতে পাবেন নাগরিকরাও
জানানো হয়েছে, প্রতিটি প্রকল্পের কাজ বিভিন্ন পর্যায়ে ভাগ করা থাকবে। সময়-সারণীতে পর্যায়ভিত্তিকভাবে কাজের অগ্রগতিও উল্লেখ করা হবে। কলকাতা পুরসভার ওয়েবসাইটেই দেওয়া থাকবে এই সময়-সারণী
কলকাতা: কাউন্সিলরদের রিপোর্ট কার্ডের কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mmata Banerjee)। এবার জানানো হল থেকে সব উন্নয়নমূলক (Development Work) কাজের সময়-সারণী প্রকাশ করবে পুরসভা। আজ সময়-সারণী প্রকাশের কথা জানান কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
জানানো হয়েছে, প্রতিটি প্রকল্পের কাজ বিভিন্ন পর্যায়ে ভাগ করা থাকবে। সময়-সারণীতে পর্যায়ভিত্তিকভাবে কাজের অগ্রগতিও উল্লেখ করা হবে। কলকাতা পুরসভার ওয়েবসাইটেই দেওয়া থাকবে এই সময়-সারণী। ফলে যে কোনও নাগরিক চাইলে কাজের অগ্রগতি দেখতে পাবেন। প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হচ্ছে কিনা তাও জানা যাবে।
উল্লেখ্য গত ডিসেম্বরের পুরভোটের (Kolkata Municipality Corporation) ফল প্রকাশের পর রিপোর্ট কার্ড প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, 'পাঁচ বছর হাতে সময় আছে ভেবে কাজ ফেলে রাখা যাবে না। আগামী ৬ মাস পর প্রত্যেকের রিপোর্ট কার্ড (Councillor Report Card) নেব।' বৃহস্পতিবার দলীয়কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে এমনটাই মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Cm Mamata Banerjee)। কলকাতার (Kolkata) ছোট লালবাড়ির লড়াই আপাতত শেষ। জয়ের পর আজ ছিল মেয়র পদ ঘোষণার দিন। আর আজই দলের কাউন্সিলরদের সতর্ক করলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
এ দিন তিনি বলেন, 'সমস্ত কাজ চটপট করতে হবে। ৫ বছর হাতে আছে ভেবে কাজগুলো ফেলে রেখে দিলাম, তা হবে না। আমরা আগামী ৬ মাস বাদে রিপোর্ট কার্ড নেব। প্রত্যেক ৬ মাস বাদে রিভিউ হবে। কে কাজ করল, কে কাজ করতে পারল না সব দেখা হবে। যদি কাজ করতে না পারে তার বিরুদ্ধে সরকারের পদক্ষেপ করতে বেশি সময় লাগবে না।' এদিন কাউন্সিলরদের কথা কম কাজ বেশির বার্তাও দেন নেত্রী মমতা।
একই কথা জানিয়েছিলেন মেয় ফিরহাদ হাকিমও। কলকাতা পুরসভার নতুন মেয়র হিসেবে শপথ নেন ফিরহাদ হাকিম। দায়িত্ব নিয়েই কাজ শুরু করে দেন তিনি। শপথ নেওয়ার পর কলকাতা নতুন মেয়র বলেন, ‘আমরা সবাই সেবক। আমি প্রধান সেবক। ডাকলেই যাকে পাওয়া যায়, তিনিই হলেন শ্রেষ্ঠ কাউন্সিলর।’
এরপর সাংবাদিক বৈঠকে ফিরহাদ বলেন, ‘শহরে যে ৬টি পকেটে জল জমে সেখানে নতুন পাম্পিং স্টেশন হবে। খালগুলো পরিষ্কার করা হবে। পাম্পের শক্তিও আরও বাড়ানো হবে। বিজ্ঞাপনের জন্য যে দৃশ্য দূষণ হয় সেটা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা হবে। পুরনো বাড়ির ক্ষেত্রে নতুন ভাবে আইন করে ব্যবস্থা নিতে হবে। যাঁরা থাকেন তাঁদের যাতে অসুবিধা না হয় সেটা দেখা হবে। কলকাতার ঐতিহ্যরক্ষায় বিশেষভাবে মনোযোগী হবে পুরসভা। ঐতিহ্যবাহী বাড়িগুলিকে রক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ফিরহাদ আরও বলেন, ‘কলকাতা শহরের রাস্তার উন্নতি একটা বড় চ্যালেঞ্জ। ৬ মাস অন্তর পুরসভা রিপোর্ট কার্ড পেশ করবে। রিভিউ মিটিং করে রিপোর্ট কার্ড পেশ করা হবে। নতুন প্রকল্প চালু হবে, শো ইওর মেয়র। মেয়রকে সরাসরি হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে এলাকার সমস্যা দেখানো যাবে। বিল্ডিং প্ল্যানের অনুমোদনে অ্যাপের মাধ্যমে সিঙ্গল উইন্ডো ব্যবস্থা চালু হবে এটা দু’বছরের মধ্যে পুরোপুরি চালু হয়ে যাবে। অ্যাপের মাধ্যমে পার্কিং দুর্নীতির মোকাবিলা করা হবে।’