Swami Sivananda: ১২৬ বছর বয়েসে নিজেই হেঁটে এলেন শহরে, দেশের অনুপ্রেরণা পদ্মশ্রী স্বামী শিবানন্দ
Swami Sivananda Health Check Up: ১২৬ বছর বয়েসেও সুস্থ এবং সাবলীল পদ্মশ্রী স্বামী শিবানন্দ । কী করে এত বয়েসেও যে স্বাভাবিকভাবে হেঁটে চলে বেড়ানো যায়, এখানেই তিনি গোটা দেশের অনুপ্রেরণা।
কলকাতা: ১২৬ বছর বয়েসেও সুস্থ এবং সাবলীল পদ্মশ্রী স্বামী শিবানন্দ (Swami Sivananda)। কী করে এত বয়েসেও যে স্বাভাবিকভাবে হেঁটে চলে বেড়ানো যায়, এখানেই তিনি গোটা দেশের অনুপ্রেরণা। সম্প্রতি শহরের নামী হাসপাতালে স্বামীজির স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর, 'তাঁর জীবন আমাদের কাছে একটা শিক্ষা', বললেন চিকিৎসক রুপালি বসু (Dr Rupali Basu)।
'তাঁর জীবন আমাদের কাছে একটা শিক্ষা'
সম্প্রতি স্বামী শিবানন্দের স্বাস্থ্য পরীক্ষার দায়িত্ব নেয় কলকাতার উডল্যান্ডস। জানা গিয়েছে, তিনি নিজের পায়ে হেঁটেই গতকাল হাসপাতাল ছেড়েছেন। সাদামাঠা জীবন কাটানো এবং যোগ ব্যায়ামই জীবনের মূল মন্ত্র ! জানিয়েছেন, উডল্যান্ডসের চিকিৎসক, নার্স, হাউজকিপিংয়ের স্টাফ থেকে শুরু করে ম্যানেজমেন্টের প্রত্যেককেই চেনেন। প্রত্যেকেই খুবই সম্মানীয়, পরিবারের মতো ! ' উডল্যান্ডস মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রুপালি বসু বলেন, আমরা গতবছর থেকে স্বামী শিবানন্দজির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে আসছি। তাঁর জীবন একটি আমাদের কাছে একটা শিক্ষা। এটা গর্বের কথা যে উনি বারাণসী থেকে উডল্যান্ডসের প্রতি বিশ্বাস রেখে, আমাদের এখানে আসেন।'
১২৬ বছর বয়েসে পুরো ফিট পদ্মশ্রী স্বামী শিবানন্দ
সালটা ১৮৯৬। ৮ অগাস্টে বাংলাদেশের শিলেটে জন্মগ্রহণ করেন স্বামী শিবানন্দ। জানা গিয়েছে, গুরুতর আর্থিক সঙ্কটের কারণে, তাঁর বাবা-মা ৪ বছর বয়সে বাবা ওমকারানন্দ গোস্বামীর কাছে দান করেন। তিনিই স্বামী শিবানন্দকে লালনপালন করেন, দীক্ষা দেন। কিছুদিন পর শিবানন্দের বোন, মা ও বাবা মারা যান। স্বামী শিবানন্দ কাশীর বাসিন্দা । তিনি সেখানে দুর্গাকুণ্ডে অবস্থিত শিবানন্দ আশ্রম পরিচালনা করেন। স্বামী শিবানন্দের যোগব্যায়াম এবং ধর্মের প্রতি অনুরাগের কথা বহু প্রচলিত। তাঁর দাবি, নিয়মিত যোগব্যায়াম অভ্যাস করে, মানুষ সুস্থ দীর্ঘ জীবনযাপন সুস্থ ভাবে যাপন করতে পারে।
আরও পড়ুন, 'সবার আগে শুভেন্দুকে গ্রেফতার করা উচিত', বললেন কুণাল ঘোষ
অর্ধশতাধিক দেশ সফর স্বামী শিবানন্দের
বিদেশি অনুরাগীদের আমন্ত্রণে তিনি ইংল্যান্ড, গ্রিস, ফ্রান্স, স্পেন, অস্ট্রিয়া, ইতালি, হাঙ্গেরি, রাশিয়া, পোল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, বুলগেরিয়া, যুক্তরাজ্য-সহ অর্ধশতাধিক দেশ সফর করেছেন। উল্লেখ্য, প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে পদ্ম পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। পদ্ম পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে মোট ১২৮ জন হাজির ছিলেন। এর মধ্যে চারজনকে পদ্মবিভূষণ, ১৭ জনকে পদ্মভূষণ এবং ১০৭ জনকে পদ্মশ্রী দেওয়া হয়। পদ্ম পুরস্কার নিতে নিজ পায়ে হেঁটেই এসেই সকলকে অনুপ্রাণিত করেন স্বামী শিবানন্দ।