Kolkata News: দিকে দিকে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য়ের অভিযোগ, কীভাবে হবে বন্ধ? প্রশ্নে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও
West Bengal News: কিন্তু অন্ধকার যে এখনও কাটেনি, তার প্রমাণ মিলছে বার বার। দিকে দিকে উঠছে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের অভিযোগ।
কলকাতা: নেতাজিনগর, হালতু থেকে লেকটাউন, এন্টালি.... ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে তালিকা। কলকাতায় উঠছে বেলাগাম দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য়ের অভিযোগ। প্রতিবাদ করে প্রহত হচ্ছেন প্রতিবাদীরা। রেহাই পাচ্ছে না পুলিশও। কেন এত বেপরোয়া দুষ্কৃতীরা? স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে।
দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য়ের অভিযোগ: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মিটিং-মিছিল-মানববন্ধন চলছে। উমার পর অশুভ শক্তির বিনাশ করে কৈলাসে ফিরে গিয়েছেন শ্যামা। কিন্তু অন্ধকার যে এখনও কাটেনি, তার প্রমাণ মিলছে বার বার। দিকে দিকে উঠছে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের অভিযোগ। এমনকী, গুন্ডাগিরি থেকে রেহাই পাচ্ছে না পুলিশও। হালতু থেকে বাঘাযতীন... এন্টালি থেকে লেকটাউন। দিকে দিকে বিশৃঙ্খলা, অশান্তি। আক্রান্ত প্রতিবাদীরাও।
প্রতিবাদ করায় এন্টালিতে মাথা ফেটেছে প্রতিবাদীর। আনন্দ পালিত রোডের বাসিন্দা সায়ন কুণ্ডুর দাবি, তাঁর মা হৃদরোগী, তাই রবিবার রাতে বাড়ির সামনে শব্দবাজি ফাটানোর প্রতিবাদ করেন। প্রতিবাদীর অভিযোগ,প্রতিবাদ করায় তাঁকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। ইট দিয়ে মাথা ফাটানোর পর, থানায় যাচ্ছেন বলায় রড দিয়ে পেটানো হয়। রেহাই পাননি তাঁর মা-বাবাও। আক্রান্ত প্রতিবাদীর বাবা সুশীল কুণ্ডুর অভিযোগ, "পুলিশ প্রথমে GD করে ছেড়ে দিয়েছিল। ওদের সঙ্গে বসে মিটিয়ে নিতে বলে। ABP আনন্দ সংবাদ মাধ্যমকে দেখে চাপে পড়ে FIR করে।'' যদিও পুলিশের দাবি, অভিযোগ পাওয়ার পরই তদন্ত শুরু হয়েছে।
এন্টালির পুনরাবৃত্তি লেকটাউনে। সেখানে শব্দবাজির প্রতিবাদ করায় আক্রান্ত হন খোদ পুলিশ কর্মী। লেকটাউনেই স্বামীর সামনে স্ত্রী শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ করতে গিয়ে আক্রান্ত হন স্বামী। অভিযোগকারিণী বলেন, "আমরা সব ভাসান থেকে এসে আমাদের পাড়ার যে মণ্ডপ আছে, সেখানে আমরা বসে আড্ডা মারছিলাম সব ছেলেমেয়েরা এসে। দেরি হয়ে যাচ্ছে বলে আমি আর আমার হাজব্যান্ড বাড়ির দিকে যাচ্ছিলাম। কিছু দুষকৃতী ওখানে দাঁড়িয়ে ছিল। ২ জন দাঁড়িয়ে ছিল। ওরা অ্যাজ ইফ কানে হেডফোন দিয়ে কারোর সাথে কথা বলছে। এদিকে কমেন্ট পাস করছে। মানে আমার বডি কমেন্ট। আমার হাজব্যান্ডের সামনে। মানে সাহস ভাবুন।''
প্রতিবাদী দম্পতিকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে হালতুতেও। আক্রান্ত দম্পতির দাবি, পাড়ার ক্লাবে বহিরাগতদের তাণ্ডবের প্রতিবাদ করায় শনিবার রাতে রাস্তায় ফেলে তাঁদের পেটানো হয়। মূল অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলরের গাড়ি চালক সঞ্জয় মল্লিক এখনও অধরা। প্রতিবাদীর স্ত্রী বলেন, "মাত্র ২ জন ধরা পড়েছে। মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় মল্লিক পলাতক। আমরা ভয় পাচ্ছি। ওদের শাস্তি চাই।'' মদের আসর বসানোর প্রতিবাদ করায় শনিবার গভীর রাতে বাঘাযতীন এলাকার বিদ্যাসাগর পল্লির রুদ্রাক্ষ এভারগ্রিন ক্লাবে তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা।
আরও পড়ুন: