IVF Centre Racket : কীভাবে শিশু বিক্রি চক্রের রমরমা চলছিল ? ধৃত ২ জনকে নিয়ে তল্লাশি আনন্দপুর থানার পুলিশের
Anandapur PS : সোমবার আনন্দপুর থানায় অভিযোগ জমা পড়ে, ২২ দিনের এক সদ্যোজাতকে পাওয়া যাচ্ছে না
![IVF Centre Racket : কীভাবে শিশু বিক্রি চক্রের রমরমা চলছিল ? ধৃত ২ জনকে নিয়ে তল্লাশি আনন্দপুর থানার পুলিশের Kolkata News : Anandapur PS on search for IVF center for their alleged involvement in Child Selling IVF Centre Racket : কীভাবে শিশু বিক্রি চক্রের রমরমা চলছিল ? ধৃত ২ জনকে নিয়ে তল্লাশি আনন্দপুর থানার পুলিশের](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/08/02/331ef9eb6d145379e4cc4968ca6bb24d1690968426258170_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা : কলকাতায় IVF সেন্টারের আড়ালে শিশু বিক্রি চক্রের ঘটনায় ধৃত ২ জনকে নিয়ে তল্লাশি আনন্দপুর থানার পুলিশের। সংশ্লিষ্ট আইভিএফ সেন্টারের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। এই আইভিএফ সেন্টারেই শিশু বিক্রির কারবার চলত বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। যদিও প্রশ্ন উঠছে, এতদিন পুলিশের নাকের ডগায় কীভাবে এই শিশু বিক্রির রমরমা চক্র চলছিল ?
কীভাবে চক্রের পর্দা ফাঁস ?
সোমবার আনন্দপুর থানায় অভিযোগ জমা পড়ে, ২২ দিনের এক সদ্যোজাতকে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিবেশীরা জানান, শিশুকন্য়া নিয়ে মা-কে বাড়ি থেকে বেরোতে দেখা গেলেও, মা যখন বাড়ি ফেরেন তখন সঙ্গে শিশুটি ছিল না।
ঘটনার সূত্রপাত বেশ কয়েকমাস আগে। পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা নিঃসন্তান দম্পতি কলকাতার একটি IVF সেন্টারের দ্বারস্থ হন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, IVF সেন্টারের এক মহিলা কর্মী ওই দম্পতিকে আশ্বাস দেন, ৪-সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা খরচ করলেই সন্তান পাওয়া যাবে। তবে, সন্তানের জন্ম না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের অন্যত্র বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে হবে। বাড়িও তাঁরাই ঠিক করে দেবেন। এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান ওই দম্পতি।
মাস ছ'য়েক আগে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় নোনাডাঙায় ফ্ল্য়াট ভাড়া নেন পেশায় আয়া ওই মহিলা। তাঁর ৮ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। যদিও, তাঁর বাড়িতে কখনওই কাউকে দেখা যেত না। ২২ দিন আগে তিনি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। দিন দু'য়েক আগে, সন্তানকে নিয়ে ওই মহিলাকে বাড়ি থেকে বেরোতে দেখেন। প্রতিবেশীরা লক্ষ করেন, মহিলা বাড়ি ফিরলেও, ফেরেনি একরত্তি। এরপরই আনন্দপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত মহিলা জানান, আত্মীয়র বাড়িতে সদ্যোজাতকে রেখে এসেছেন। পুলিশ সেই আত্মীয়ের বাড়িতে যেতে চাইলে ভেঙে পড়েন শিশুর মা। জানান, সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি। অভিযুক্তর কাছ থেকে জানা যায়, IVF কর্মী রূপার নাম। রূপা আইভিএফ কর্মী স্বপ্নার কথা জানান। তাঁরাই বলেন মিডলম্যান পূর্ণিমার নাম। সেখান থেকে জানা যায় IVF কর্মী লাল্টির নাম। পুলিশ সূত্রে খবর, লাল্টিই ওই দম্পতিকে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকায় সন্তান দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, এরা প্রত্যেকেই এই টাকার ভাগ পেয়েছেন।
যাঁর কাছ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি জানিয়েছেন, তিনবার IVF পদ্ধতিতে চেষ্টা করেও সন্তানের জন্ম দিতে পারেননি তিনি। তাই, IVF সেন্টারের কর্মীর প্রস্তাবে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সন্তান পেতে রাজি হয়ে যান। ২২ দিনের সদ্যোজাতকে চাইল্ড ওয়েল ফেয়ার কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)