CBI Raid: সাতসকালে রানিকুঠিতে ব্যবসায়ীর বাড়িতে সিবিআই হানা
Ranikuthi Businessman Bank Fraud Case: কয়েকশো কোটি টাকা ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগ। রানিকুঠিতে ব্যবসায়ী রামপ্রসাদ আগরওয়ালের বাড়িতে হানা দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
কলকাতা: সাতসকালে শহরে সিবিআই (CBI) হানা। রানিকুঠিতে ব্যবসায়ী রামপ্রসাদ আগরওয়ালের বাড়িতে হানা দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রে দাবি, ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কয়েকশো কোটি টাকা ব্যাঙ্ক জালিয়াতির (Bank Fraud Case) অভিযোগ রয়েছে।
সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে রানিকুঠিতে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই
জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে মামলা রুজু হয়। এদিন সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে রানিকুঠিতে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। একই মামলায় এর আগে ইডি ব্যবসায়ীর সংস্থার ১০৭ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে। পাশাপাশি রাজ্যের একাধিক জায়গায় হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রসঙ্গত, জুলাই মাসে বালিগঞ্জ প্লেস ইস্টের একটি বাড়িতেও হানা দিয়েছিল ইডি । ৮ নম্বর বালিগঞ্জ প্লেস ইস্টের বাড়িতে ইডি-র ৮ জন আধিকারিক অভিযান চালায়। বস্ত্র ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা ইডি চালায় আধিকারিকরা। পাশাপাশি সম্প্রতি চিটফান্ডকান্ডে ধৃত রাজু সাহানি ঘনিষ্ঠ বীজপুরের তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি ও ফ্ল্যাটে হানা দিয়েছে সিবিআই। হালিশহরের বাড়ি ছাড়াও কলকাতার ৪টি ফ্ল্যাটে চলেছে তল্লাশি। সহায়কের বাড়িতেও দিয়েছে হানা। এহেন একের পর এক গ্রেফতারে চাপ বাড়ছে তৃণমূলের অন্দরে বলেই চাপানউতোর রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন, 'ইডি-সিবিআই চুরি ধরলে তৃণমূলের মুখ চুন হবে ঠিকই', কথায় 'কিন্তু' রেখে ফের বিস্ফোরক তথাগত
ইডি-সিবিআই-র হাতে ইতিমধ্যেই গ্রেফাতার তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী
রাজ্যে একের পর এক ইতিমধ্যেই ইডি-সিবিআই-র হাতে ইতিমধ্যেই গ্রেফাতার তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী। এসএসসি দুর্নীতি মামলা, গরুপাচার মামলা, কয়লাপাচার মামলা, আইকোর মামলা, নারদ মামলা, বগটুই মামলায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের হেভিওয়েটদের।এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সদ্য গ্রেফতার হয়ে জেলে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ এবং নথি উদ্ধার পর, পার্থ-র উপর বড়সড় আরোপ আসে। গ্রেফতারের পর থেকে রাজ্যে এই মুহূর্তে শুধুই ফোকাস পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই বলেছেন,' আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।' আর কিছুই বলেননি তিনি। এমনই আবহে পরামর্শ দিলীপ ঘোষ বলেছেন,'পার্থ বাবুর মুখ খুলে দেওয়া উচিত, না হলে গোটা দেশের মানুষ ওকে একা চোর ভাবছে।' গরুপাচার মামলায় ধৃত তৃণমূলের আরেক হেভিওয়েট নেতা অনুব্রত মন্ডল। তবে পার্থ গ্রেফতারের পর তৃণমূল সুপ্রিমোর বক্তব্যে সাপোর্ট না পেলেও, অনুব্রত পুরোপুরি সমর্থন পেয়েছেন।