(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Anandapur News: আনন্দপুরে ঝোপের ধার থেকে মহিলার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার ! শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন
Lady's Dead Body at Anandapur : ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে আনন্দপুর থানার পুলিশ। প্রথমে তারা ওই মহিলার পরিচয় জানার চেষ্টা করছে।
কলকাতা : সাতসকালে আনন্দপুরে অজ্ঞাত পরিচয় এক মহিলার দেহ উদ্ধার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঝোপের ধার থেকে উদ্ধার হয় মহিলার রক্তাক্ত দেহ। মৃতার শরীরে মিলেছে একাধিক আঘাতের চিহ্ন। দেহটি কেউ বা কারা খুন করে ফেলে রেখে গেছে বলে অনুমান পুলিশের। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে আনন্দপুর থানার পুলিশ। প্রথমে তারা ওই মহিলার পরিচয় জানার চেষ্টা করছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, শরীরের বিভিন্ন জায়গায়, মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সাড়ে ৫টা নাগাদ ওই স্থান দিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, সেই সময় সেখানে কোনও দেহ পড়ে ছিল না। কিছুক্ষণ পর, ৬টা নাগাদ তাঁরা দেহ দেখতে পান। এরপর আনন্দপুর থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে।
EM বাইপাস থেকে নোনাডাঙা চিনা মন্দিরের দিকে যে রাস্তা গিয়েছে সেখানকার ঝোপের মধ্যে দেহটি পড়ে ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই এলাকায় রাতে কোনও আলো থাকে না। আশেপাশে কোনও বাড়ি নেই।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান, বেশ কয়েক ঘণ্টা আগে খুন হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। কারণ, দেহটি শক্ত হয়ে গিয়েছিল। মহিলার হাতে ঘড়ি এবং কানে দুল থাকায়, এই ঘটনা ডাকাতি বা চুরির উদ্দেশে নয় বলে মনে করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে অন্য কোথাও খুন করে এখানে দেহ ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছে বলেও অনুমান করা হচ্ছে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি মহিলাকে কোনও যৌন নির্যাতন করা হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে আনন্দপুর থানার পুলিশ।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, 'এখানে একটাও লাইট নেই। এখান দিয়ে যদি রাতে যান দেখবেন ভয়ঙ্কর একটা পরিবেশ। আতঙ্কে থাকবেন। এখানে আগেও ঘটেছে। অনেকবার মেরেছে এখানে। অনেকবার এখানে লাশ ফেলে গেছে। মহিলাকে স্থানীয় বলে মনে হচ্ছে না। কেউ চিনতে পারলাম না। মনে হচ্ছে, বাইরের হবে। দেখেই মনে হচ্ছে খুন।'
গত মাসেই ভরসন্ধেয় আনন্দপুরে প্রোমোটারকে কুপিয়ে খুনের ঘটনা ঘটে। উত্তর পঞ্চান্নগ্রামের ঘটনা। মৃত আরিফ খানের
বাড়ি তপসিয়া রোডের জড়িবুটি গলিতে। পরিবার অভিযোগ করেছিল, সন্ধে ৭টা নাগাদ বাড়ির কাছেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন বছর চল্লিশের ওই প্রোমোটার। খবর পেয়েও আনন্দপুর থানার পুলিশ আসেনি। পরিবারের লোকজন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রোমোটারকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।