Firhad On KMC: বাড়ির পাশে খাটাল, টক টু মেয়রে অভিযোগ জানিয়ে পুরকর্মীর রোষের মুখে যুবক ! কড়া বার্তা ফিরহাদের
Firhad Hakim On KMC Talk To Mayor: টক টু মেয়রে অভিযোগ জানিয়ে এবার পুরকর্মীর রোষের মুখে পড়লেন এক যুবক ! আতঙ্কে নিয়োগী পরিবার , কী প্রতিক্রিয়া ফিরহাদের ?

অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: বাড়ির পাশে খাটাল নিয়ে টক টু মেয়রে অভিযোগ জানিয়ে এবার পুরকর্মীর রোষের মুখে পড়লেন এক যুবক। অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য চাপ ও হুমকি দেওয়া হয় বলে দাবি। আতঙ্কিত যুবক ও তাঁর পরিবার। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়, কেউ এমন কাজ করলে বরদাস্ত করা হবে না, কড়া বার্তা দিলেন ফিরহাদ হাকিম। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করা দায়- স্থানীয় কাউন্সিলর থেকে পুলিশ, এই নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন সব জায়গায়। কিন্তু অভিযোগ, কাজ হয়নি। তাই দ্বারস্থ হন টক টু মেয়রে।
অভিযোগকারীর দাবি, তাতে সুরাহা তো দূর, উল্টে বাড়ি এসে উচ্ছেদ করার হুমকি দিয়ে গেছেন পুরকর্মীরা। অভিযোগকারী রণিত নিয়োগী বলেন,'আমরা এত বছর বাইরে ভাড়া ছিলাম, সম্প্রতি এখানে ঘর করে এসেছি। আমাদের এখন অসুবিধা হচ্ছে বলে বলেছি, পাশে একজনের বাড়ি আছে, তাদেরও অসুবিধা হচ্ছে। হেল্থ ডিপার্টমেন্ট এসে যদি নিজের কাজ না করে যারা অভিযোগ করেছে, তাদেঁরকে শাসায়! ওঁরা নিজেরা যদি ঠিকঠাক কাজ করতেন, তাহলে তো আমাকে মেয়র স্যরের কাছে অভিযোগ জানাতে হত না।'
কলকাতা পুরসভার ১১৪ নম্ব ওয়ার্ডের পূর্ব পুটিয়ারির বাসিন্দা যুবক ও তাঁর পরিবারের এখন দিন কাটছে আতঙ্কে। অভিযোগকারীর মা সঞ্চিতা নিয়োগী বলেছেন, 'আমার ছেলেটা তো বেরোয়, মেয়েটা বেরোয়। কোন সময় না আমার ছেলেটার কিছু করে দেয়! ওই আতঙ্কেই আমি রয়েছি, খুব ভয়ে রয়েছি। আমার রাস্তার মধ্যে বলেছে, ছেলেটাকে ধরে মেরে কিছু একটা, না হলে মেরেই ফেলে দেবে আমার ছেলেটাকে। '
কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন,'আইনের ওপরে কেউ নয়। খাটাল রাখা শহরে বেআইনি। আমি নগরপালকে বলেছি কিছু কিছু জায়গায় খাটাল রয়েছে সেগুলো অবিলম্বে তোলার ব্যবস্থা করুন। সেখানে গিয়ে যদি আমার কোন স্টাফ দালালি করে তাহলে অন্যায় করেছে। ডিপার্টমেন্টাল প্রসিডিং শুরু হচ্ছে। '
আরও পড়ুন, যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর, 'এটাও বাংলাদেশ বানিয়ে দিয়েছে..'!
যে খাটাল নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত, তাঁর মালিকের দাবি, একটি মাত্র গরু থাকে সেখানে, তাও রাতে থাকে না। খাটালমালিক ভোলা নিয়োগী বলেন,' গরু নেই। না, রাত্রিবেলাও গরু থাকে না। আপনি রাত্রিবেলা আসবেন, ভিজিট করবেন, বুঝতে পারবেন- দুধ কা দুধ পানি কা পানি হয়ে যাবে। একটা গরু ছিল।'প্রতিবেশী রঞ্জনা সাহা বলেছেন, 'কালকেও ভোরবেলায় ডেকেছে। মিথ্যে কথা পুরো। গরু এখান থেকে নিয়ে মাঠে দিয়ে আসছে। অন্য কোথায় রেখে আসছে। দীনেশ পল্লিতে কোথায় কার বাড়িতে রেখে আসছে, এসবই করছে। 'পুরসভা সূত্রে খবর, অভিযুক্ত পুরকর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগায়ী তদন্ত শুরু হয়েছে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
