(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Fraud News: KPC-তে ভর্তির নামে ৪৮ লক্ষ টাকা নিয়ে প্রতারণা ? অভিযুক্তের সঙ্গে যা করলেন 'প্রতারিতরা' !
KPC Medical College : পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার কেপিসি মেডিক্যাল কলেজ থেকে নিতাই দে-কে অপহরণের অভিযোগ আসে।
আবীর দত্ত, কলকাতা : মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। টাকা ফেরত না পেয়ে, পাল্টা অভিযুক্তকেই অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হল পশ্চিম মেদিনীপুরে। হোটেল থেকে অপহৃত অভিযুক্তকে উদ্ধার করল পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ৪ জন অপহরণকারীকে।
কেপিসি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নাম করে, ৪৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ভর্তি না করিয়ে দেওয়ায়, অভিযুক্তকেই অপহরণ করার অভিযোগ উঠল প্রতারিতদের বিরুদ্ধে। প্রতারিতদের দাবি, এমবিবিএস-এ ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নাম করে ৪৮ লক্ষ টাকা নেয় নিতাই দে নামে এক ব্যক্তি। কিন্তু টাকা নেওয়ার প্রমাণ হিসাবে কোনও নথি তিনি দেননি।
মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হতে না পেরে টাকা ফেরত চান অর্থদাতারা। অভিযুক্ত টাকা না দেওয়ায় এরপর তাঁকে অপহরণ করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার কেপিসি মেডিক্যাল কলেজ থেকে নিতাই দে-কে অপহরণের অভিযোগ আসে। খবর পেয়েই অপহৃতর খোঁজে নামে পুলিশ। পশ্চিম মেদিনীপুরের রসুলপুরে মেলে অপহৃত ব্যক্তির মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন। দ্রুত ঘটনাস্থলে রওনা দেয় পুলিশের টিম। রসুলপুরের একটি হোটেল থেকে উদ্ধার করা হয় অপহৃতকে। গ্রেফতার করা হয় তাঁর সঙ্গে থাকা অপহরণকারী ৪ জনকে।
গ্রেফতার হওয়া ৪ জনই পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা। এই চারজনকে গ্রেফতার করা হলেও, ডাক্তারিতে ভর্তির নাম করে টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে অপহৃত নিতাই দে-কে এখনও গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
সীমান্ত পেরিয়ে কেনাকাটা করতে এসেছিলেন ভুটানি, পুলিশ সেজে 'অপহরণ'
গত সেপ্টেম্বর মাসে ভুটানের এক নাগরিককে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় এক ভারতীয়কে। ভারতের সীমান্তবর্তী শহর জয়গাঁওতে কেনাকাটা করতে এসেছিল ভুটানের ওই নাগরিক। ঘটনাটি ঘটে ভারত-ভুটান সীমান্তবর্তী শহর জয়গাঁওতে।
ভুটানের নাগরিক সোনম ছুপেল ব্যবসায়িক কেনাকাটা করতে সীমান্ত গেট দিয়ে ভারতের জয়গাঁওতে প্রবেশ করেন। সেখানে এম জি রোডে তাঁর গাড়ি দাঁড় করিয়ে রেখে কেনাকাটা করতে যান। এই সুযোগে জয়গাঁও এর চার ব্যক্তি তাঁর গাড়িতে কোনো উপায়ে লক খুলে ভেতরে তিন কার্টুন নিষিদ্ধ কফ সিরাপ রেখে দূর থেকে নজরদারি করতে থাকে বলে অভিযোগ। এরপর ভুটানের ওই ব্যবসায়ী কাজ সেরে তাঁর গাড়িতে ফিরে আসেন। সেইসময় অভিযুক্তরা সেখানে উপস্থিত হয়ে নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দিয়ে গাড়ি তল্লাশি শুরু করে। তল্লাশিতে নিজেদেরই রাখা কফ সিরাপ বেরিয়ে আসে।
অভিযোগ, এরপর ভুটানের সেই নাগরিককে মাদক পাচার মামলার ভয় দেখিয়ে প্রথমে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে। পরে চার লক্ষ টাকায় রফা হয়। এরপর ওই ভুটানিকে নিজেদের গাড়িতে তুলে জয়গাঁও এর বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাতে থাকে। মুক্তিপণের টাকা নির্দিষ্ট জায়গায় আনতে যায় অপহরণকারীদের মধ্যে একজন। ইতিমধ্যেই ওই ঘটনা জয়গাঁও পুলিশ জানতে পেরে অভিযান চালায়। জয়গাঁও এমজি রোড এলাকায় মুক্তিপণ লেনদেনের জায়গায় পৌঁছে অভিযুক্তকে ধাওয়া করে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতির খবর পেয়ে ভুটানের নাগরিককে ফেলে পালিয়ে যায় বাকি তিন অভিযুক্ত।