(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Recruitment Scam: 'এতদিন কেন ছেড়ে রেখেছিলেন?' চন্দন ইস্যুতে CBI-কে তীব্র ভর্ৎসনা বিচারকের
Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে সিবিআই-কে ফের তীব্র ভর্ৎসনা বিচারকের।
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্ত নিয়ে সিবিআই-কে (CBI) ফের তীব্র ভর্ৎসনা বিচারকের। 'আপনারা চন্দন মণ্ডলকে (Chandan Mondal) হেফাজতে নিতে চান না, তাহলে জামিন দিলে কী সমস্যা? এখন কান্নাকাটি করছেন জামিন দেবেন না, তাহলে এতদিন ছেড়ে রেখেছিলেন কেন?' সিবিআই-এর আইনজীবীকে প্রশ্ন বিচারক রাণা দামের।
যদিও বিচারকের উত্তরে, এতদিন তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করছিলেন বলে দাবি করেন সিবিআই-এর আইনজীবীর। 'এর আগে চন্দনকে চারবার নোটিস পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। হঠাৎ কেন বলছেন জামিন দেবেন না? হেফাজতে তো নেবেন না' শুধু আটকানোর জন্য জামিনের বিরোধিতা করছেন?' সিবিআই-এর আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন বিচারক।এরপরেই উত্তরে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, 'আমার কাছে প্রমাণ রয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তথ্য প্রমাণ নষ্ট করছেন চন্দন মণ্ডল। তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন।' এরপর সিবিআই-এর আইনজীবীকে ফের প্রশ্ন করেন বিচারক। সওয়ালে সংযোজন, 'মে মাসে এফআইআর হয়েছে। ৯ মাস বাইরে ছিলেন, তখন জানতেন না, যে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করবেন? বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। এফআইআর করার পর ৯ মাস লাগল বুঝতে, যে ওঁকে গ্রেফতার করা দরকার। কী তদন্ত করছেন আপনারা?।'
নিয়োগ দুর্নীতিতে চন্দন মণ্ডলকে জেরা করে উঠে এসেছে একাধিক নতুন তথ্য। সিবিআই সূত্রে খবর, জেরায় ১৬ কোটি টাকা লেনদেনের হদিশ। অযোগ্য চাকরি প্রার্থীদের চাকরি বিক্রি করে সেই টাকা তুলেছিলেন চন্দন। এফআইআর-এ নাম থাকা চন্দন প্রথম থেকেই ছিলেন আতস কাঁচের তলায়। সেই সময়েই চন্দনের লেনদেন খতিয়ে দেখে ৬ কোটির হদিশ পান তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রে খবর, হেফাজতে পেয়ে চন্দনকে জেরা করে এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে আরও ১০ কোটির হদিশ মিলেছে। চাকরি বিক্রি শুধু নয়, চাকরি পেয়েছেন চন্দনের মেয়ে ও ভাইঝি। চন্দন চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন নিকট আত্মীয়দের।
আরও পড়ুন, অভিষেকের বাড়ির দিকে বিজেপির একাধিক মিছিল, ভবানীপুরে গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভ
গ্রেফতারির পর সিবিআইয়ের দাবি করে, এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির ৩ জন সদস্যের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলের। সেই সদস্যদের কাছেই নিয়োগ সংক্রান্ত সুপারিশ সরাসরি পৌঁছে দিতেন রঞ্জন ওরফে চন্দন। কার মাধ্যমে এই যোগাযোগ তৈরি হয়েছিল ? জানতে বাগদার রঞ্জনকে জেরা করছেন সিবিআই অফিসাররা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি করে, রঞ্জন ওরফে চন্দনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেনের তথ্য মিলেছে। এই টাকা কোথা থেকে এল, তা জানতে চাওয়ার পাশাপাশি, রঞ্জন ওরফে চন্দনের আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও সিবিআইয়ের স্ক্যানারে। গ্রুপ সি ছাড়াও, শিক্ষক বা অন্য কোনও নিয়োগে রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলের ভূমিকা রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছেন সিবিআই আধিকারিকরা।