ED on Manik: ফের জামিনের আবেদন মানিকের, বিরোধিতা ইডির
Manik Bhattacharya in Court: ‘অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি বিক্রি করা হয়েছে, এটা বিরাট দুর্নীতি', অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগে মানিকের ভূমিকা কী ?
কলকাতা: ফের জামিনের আবেদন মানিক ভট্টাচার্যর (Manik Bhattacharya), বিরোধিতা ইডির (ED)। ‘অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি বিক্রি করা হয়েছে, এটা বিরাট দুর্নীতি (Corruption) । ২০১৪-র টেটের (TET) পর ৩২৫ জন অযোগ্য প্রার্থীকে শিক্ষক পদে নিয়োগ। অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগে মানিকের ভূমিকা কী ? খতিয়ে দেখতে আরও জেরা প্রয়োজন। যাঁদের বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল, তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে’, আদালতে সওয়াল ইডির (ED) আইনজীবীর (Lawyear)।
ইডির নজরে মানিকের ছোটভাই, জামাই, জামাইয়ের বাবাও । ‘এই ৩ জন মানিকের অ্যাকাউন্ট যাবতীয় আর্থিক লেনদেন দেখতেন। ' ওই তিনজনের অ্যাকাউন্টেও বেআইনি আর্থিক লেনদেন হয়েছে, দাবি ইডির। ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২০ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা নগদে নেন মানিক ভট্টাচার্য’, আদালতে তালিকা দিয়ে দাবি ইডির আইনজীবীর। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যকে ফের আদালতে পেশ। ইডি সূত্রে খবর, মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের বয়ানকেই হাতিয়ার করতে চলেছে তারা। ডিএলএড কলেজে ভর্তির জন্য নগদ টাকা নিতেন মানিক, তাপসের এই বয়ানকে সামনে রেখেই আজ আদালতে সওয়াল করবে ইডি। সেই সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে জেলে রেখে ফের জেরা করার আবেদন জানাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। খবর সূত্রের।
প্রসঙ্গত, মানিক-মামলায় এখন ED’র প্রধান হাতিয়ার তারই ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল। আর সেই তাপস মণ্ডলই ( Tapas Mondal ) এবিপি আনন্দকে ( ABP Ananda ) দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি সভাপতি সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন! মানিক ভট্টাচার্যকে ( Manik Bhattacharya ) হেফাজতে চাওয়ার সময় ED’র আইনজীবী আদালতে বলেছিলেন, মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের সংস্থার অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা পাওয়া গেছে। ২০১৮ সালে, বেশ কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাবদ এই টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু, টাকা নেওয়ার পর কোনও কাজ হয়নি। এবার এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই প্রসঙ্গেই আরও খোলসা করে, বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনলেন মানিক ভট্টাচার্যর একদা ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল।
আরও পড়ুন, ‘নেতা নয়, বিরোধী সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে, ভালবেসে কাছে টেনে নিতে হবে’ : মুখ্যমন্ত্রী
তাঁর দাবি, 'পর্ষদের অফিসের পাঁচতলায় একটি এজেন্সি কাজ করত। তারাই এই ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির বিষয়ে সব দেখত। যাদের ঠিক করে দিয়েছিল সভাপতি হিসেবে মানিকবাবুই।' তাঁর আরও দাবি, নিজে টাকা নেওয়ার পাশাপাশি, তৃণমূল বিধায়ক এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য নিজের পদ এবং প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে, ছেলেরও আয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন! কীভাবে ?তাপসের দাবি, ' কলেজগুলোর পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য একুয়ার্স সল্যুশন কন্সালটেন্সি প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সব কলেজ কে তারা সেই পরিষেবা দেয়নি। সেই বাবদ টাকা চেকে মেটানো হয়েছে। পরে শুনেছি সেটা মানিকবাবুর ছেলে সৌভিকের।