Sujan Chakraborty: 'তৃণমূলের নেতারা চোর, সাদা খাতায় মজা বেশি', অনুব্রত-র ১৭ কোটি বাজেয়াপ্ত কাণ্ডে বিস্ফোরক সুজন
Sujan on Anubrata: পার্থ-অর্পিতাকাণ্ডের পর এবার অনুব্রত-র কাছ থেকে প্রায় ১৭ কোটি বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিস্ফোরক সিপিএম-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী।
কলকাতাঃ পার্থ-অর্পিতাকাণ্ডের পর এবার অনুব্রত-র (Anubrata Mandal) কাছ থেকে প্রায় ১৭ কোটি ফিক্সড ডিপোজিট (Fixed Deposit)বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই (CBI) । আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিস্ফোরক সিপিএম-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) ।
তিনি এদিন বলেছেন, 'এটাই তো তৃণমূল। অনুব্রত মণ্ডলের ফিক্স ডিপোজিটে পাওয়া গিয়েছে প্রায় ১৭ কোটি টাকা। পার্থ-অর্পিতা এবং অনুব্রত-র কাছে পাওয়া টাকা বাড়তে বাড়তে কোথায় গিয়ে পৌছয় দেখুন। শুধু লুঠ হয়েছে তো। কোথায় ইনকাম করেছে, কী চাকরি করত ? গরুপাচারের লুঠ, সোনাপাচারের লুঠ, কয়লাপাচারের লুঠ, যাবতীয় লুঠের টাকা। সিবিআই আজকে না হয় এতদিন পরে বাজেয়াপ্ত করল। রাজ্যের গোয়েন্দা তদন্ত সব উঠে গেল কি ? সব কি ফেল ? গায়ে তো লাগছেই, রাজ্য সরকারের। এক তৃণমূলের অনুব্রতকে প্রশয় দেওয়া, দুই সমস্ত তদন্তগুলিকে ধামাচাপা দিয়ে রাখা। তৃণমূলের নেতারা চোর, দুর্নীতিগ্রস্থ।'
এদিকে টেট-এসএসসি দুর্নীতি ইস্যুতেও তোপ দাগতে ছাড়েননি সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন,' সাদা খাতায় মজা বেশি।' কারণ,পরেশ-কন্যার পর এবার অনুব্রত-কন্যার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে উঠেছে মামলা। টেট পাস না করেই প্রাথমিকে শিক্ষকের চাকরি অনুব্রত-কন্যার? স্কুলে হাজিরার বদলে বাড়িতেই আসত হাজিরার রেজিস্টার? আগামীকাল দুপুর ৩টের মধ্যে টেট সার্টিফিকেট নিয়ে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে।অভিযোগ, টেট পাস করেননি অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা, বাড়িতেই আসত রেজিস্টার। প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন, কোনওদিন স্কুলে যাননি। হাজিরার রেজিস্টার পাঠানো হত অনুব্রত-র বাড়িতে। বোলপুরের কালিকাপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পেয়েছেন সুকন্যা। হাইকোর্টে অভিযোগ মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের। কালকের মধ্যে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকাকে রেজিস্টার নিয়ে হাজিরার নির্দেশ।
আরও পড়ুন, টেট পাস না করেই চাকরি অনুব্রত-কন্যার ? স্কুলে না গিয়েই প্রতি মাসে বেতন !
পার্থ-অর্পিতার পর এবার অনুব্রতর অ্যাকাউন্টেও মিলেছে কোটি কোটি টাকা। অনুব্রতর কাছ থেকে প্রায় ১৭ কোটি বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। প্রায় ১৬ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অনুব্রত-সহ ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকার হদিশ। প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন আগেই পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। টালিগঞ্জ, বেলঘড়িয়া দফায় দফায় দুটি ফ্ল্যাট থেকে বিপুল নগদ টাকা, সম্পত্তি, কোম্পানি সহ একাধিক নথি উদ্ধার করেছে ইডি। 'টাকা আমার নয়', বলে ইতিমধ্য়েই জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর সেই ঘটনার পর সামনে এল অনুব্রত-র টাকা বাজেয়াপ্তকাণ্ড।এর আগে সুজন চক্রবর্তী বলেন,' অনেক দেরিতে হলেও যুক্তিযুক্ত কাজ। সবাই জানেন মাফিয়া রাজনীতি করে দাপট দেখিয়ে খুশিমতো চলেছেন অনুব্রত মণ্ডল। হাজার হাজর কোটি টাকার সম্পত্তি বানিয়েছে। অপরাধের শেষ সীমানায় যারা বাংলাকে নিয়ে গিয়েছে তাদের ক্ষেত্রে শাস্তির কোনও বিকল্প নেই। দশবার ডাকার পরও যখন যাননি তখন বাড়ি গিয়ে কার্যত ঘাড় ধরে তুলে নিয়ে গিয়েছে সিবিআই, এটা না বোঝার কোনও কারণ নেই।'