Kolkata Police: SFI-এর মিছিলে 'না' পুলিশের, দেওয়া হল না অনুমতি
SFI Rally: বোর্ডের পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে বাম ছাত্র সংগঠনের মিছিলে আপত্তি জানাল পুলিশ।
ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: আগামীকাল এসএফআইয়ের মিছিলে অনুমতি দিল না লালবাজার। হাওড়া, শিয়ালদা থেকে এসএফআইয়ের বিধানসভা অভিযানে 'না' পুলিশের।
কেন বারণ:
বোর্ডের পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে বাম ছাত্র সংগঠনের মিছিলে আপত্তি জানাল পুলিশ। মিছিল করে এলে হাওড়া, শিয়ালদা, ধর্মতলায় আটকাবে পুলিশ, জানাল লালবাজার।
কীসের ডাকে মিছিল?
কলেজে ছাত্র ভোট থেকে আনিশ হত্যাকাণ্ডের দোষীদের শাস্তি চেয়ে মিছিলের ডাক দিয়েছে এসএফআই। স্কুল শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়েও একাধিক দাবি রয়েছে বাম ছাত্র সংগঠনের।
এসএফআই রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, 'বিধানসভার অধিবেশন, দিন কমিয়ে দিচ্ছে, আলোচনা করতে দিচ্ছে না। শিক্ষা নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। মন্ত্রীকে-চিঠি দিয়েছি। তা নিয়ে আপত্তি দেওয়ার কথা না। আমরা ছাত্রদের জন্য়ই ভাবছি। ওঁরা পড়ুয়াদের কথা ভাবেন না। আমরা ৩৬৫ দিন ভাবি। পরীক্ষার বিষয় দেখে নেওয়া হবে। মিছিল তো হবেই।'
কিন্তু, লালবাজারের এই চিঠির পরও সিপিএমের ছাত্র সংগঠন বিধানসভা অভিযান কর্মসূচি থেকে পিছু হটতে নারাজ। শুক্রবার হাওড়া ও শিয়ালদা-সহ শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসএফআইয়ের মিছিল রওনা দেবে বিধানসভার উদ্দেশে। লালবাজার সূত্রের খবর, আপাতত যা পরিকল্পনা, সেই অনুযায়ী, হাওড়া ব্রিজ পেরোলেই, অ্যাপ্রোচ রোডে ব্যারিকেড করে আটকে দেওয়া হবে এসএফআইয়ের মিছিল। শিয়ালদা স্টেশন চত্বরে মিছিল আটকানোর পরিকল্পনা রয়েছে পুলিশের। ঠিক হয়েছে, ডোরিনা ক্রসিং-সহ বিভিন্ন জায়গায় থাকবে পুলিশ পিকেট। প্রতিটি জায়গায় দায়িত্বে থাকবেন পুলিশ আধিকারিকরা।
বকেয়া ডিএ-র দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশের ধর্মঘট ঘিরে এমনিতেই তেতে উঠেছে পরিস্থিতি। সঙ্গে চলছে রাজনৈতিক তর্কযুদ্ধ।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, 'নোটিস দেবে, শো কজ করবে, ওই পযন্তই। বেতন কাটলে, দমন-পীড়ন নীতি নিয়ে সাসপেন্ড করলে আমি বিরোধী দলনেতা হিসাবে পূর্ণদায়িত্ব নেব। তার আইনি লড়াইয়ের জন্য ব্যয় ভার পযন্ত আমি করবো। যারা নিজের অধিকারের জন্য ধর্মঘট করতে চান তারা করতে পারেন।' একদিকে, বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন। আরেকদিকে, বিভিন্ন ইস্যুতে এসএফআইয়ের বিধানসভা অভিযান। সার্বিকভাবে চড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপের পারদ।
এসএফআইয়ের মিছিল পুলিশ আটকালে আরও ঝামেলা বাড়তে পারে? সেক্ষেত্রে ১০ মার্চ কী তোলপাড় হবে কলকাতার রাস্তা?