Kolkata Hotel Fire:অগ্নিকাণ্ডে বড়বাজারের হোটেলে মৃত্যুমিছিল, আটক ম্যানেজার; এখনও বেপাত্তা মালিক
Rituraj Hotel Fire: বড়বাজারের মেছুয়ার ৬ তলা হোটেলে মৃত্যুকূপ। অগ্নিকাণ্ডের জেরে দুই শিশু, এক মহিলা-সহ ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

কলকাতা: বড়বাজার মেছুয়া ফলপট্টিতে হোটেলে বিধ্বংসী আগুনে মৃত্যু ১৪ জনের। প্রবল ধোঁয়ায় কার্যত গ্যাস চেম্বার হয়ে যায় হোটেল। আর তার জেরেই দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আবাসিকদের। এই ঘটনায় এখনও বেপাত্তা হোটেলের মালিক। তবে আটক করা হয়েছে ম্যানেজারকে।
ঋতুরাজ হোটেলের একতলায় রয়েছে দোকান এবং গোডাউন। উপরের অংশে হোটেল। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সন্ধে সাড়ে সাতটা থেকে আটটা নাগাদ হোটেলের ১ তলার রান্নাঘর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। তারপর, গোটা হোটেলে ছড়িয়ে পড়ে ধোঁয়া। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় অবশেষে নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। ভোররাত পর্যন্ত চলে সার্চ অপারেশন। অগ্নিকাণ্ডের পরেই উধাও হোটেল মালিক। ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে FIR। তবে আটক করা হয়েছে হোটেল ম্যানেজারকে।
আগুনের জেরে এখনও পর্যন্ত দুই শিশু, এক মহিলা-সহ ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৮ জনের দেহ শনাক্ত করা হয়েছে। হোটেল থেকে অনেককেই উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় RG কর, NRS ও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। ২ জন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। মৃতদের মধ্য়ে অনেকেই ভিনরাজ্যের বাসিন্দা। প্রাণ বাঁচাতে পাইপ বেয়ে নামতে গিয়ে মৃত্যু হয় একজনের। কেউ কেউ ছাদের কার্নিস থেকে পড়ে যান। অন্ধকারে অনেকে সিঁড়ি দিয়ে নীচে নামার চেষ্টা করেছিলেন। ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়। হোটেলের ঘরে, শৌচাগারে,করিডরে এবং সিঁড়িতে দেহ মেলে।
বড়বাজারের হোটেলে বিধ্বংসী আগুনে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। এদের মধ্যে ৫ জনের দেহ RG কর মেডিক্যালে, ৫ জন NRS এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ৪ জনের দেহ রয়েছে। মৃতদের মধ্যে দাদু, নাতি-নাতনি-সহ এক পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা চেন্নাইয়ের বাসিন্দা। দাদুর কাছে ৩ বছর ৮ মাসের মেয়ে আর ৮ বছরের ছেলেকে রেখে মা-বাবা শপিংয়ে যান। হোটেলের ৩১৩ নম্বর ঘরে ছিলেন দাদু, নাতি-নাতনি। দুই শিশু বিছানায় আর দাদু শৌচাগারে পড়েছিলেন। ৪১৯ নম্বর ঘরে ছিলেন ওড়িশার কটকের বাসিন্দা ৪১ বছরের রাজেশ সন্তুকা। টেক্সটাইল ব্যবসায়ী রাজেশ এর আগেও এই হোটেলে এসে থেকেছেন। কাপড় নিয়ে গতকালই রাত সাড়ে ৮টায় হাওড়া থেকে ট্রেন ধরে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। তার আগেই বিধ্বংসী আগুনে তাঁর মৃত্যু হয়। বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা ২০ বছরের নীরজ কুমারের দেহও শনাক্ত করা হয়েছে।





















