Kolkata Road Accident: বিজন সেতুতে বাইকে ধাক্কা বেসরকারি বাসের, আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আরোহী
Kolkata News: ছুটির দিনে ফের পথ দুর্ঘটনা। রবিবার দুপুরে বিজন সেতুতে ঢোকার মুখে সজোরে বাইকে ধাক্কা মারে একটি বেসরকারি বাস।

হিন্দোল দে, কলকাতা: বিজন সেতুতে বাইকে ধাক্কা বাসের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি বাইক আরোহী। গড়িয়া-দিঘাগামী বেসরকারি বাস এদিন বাইকে ধাক্কা মারে। প্রত্যকদর্শীদের অভিযোগ, বেপরোয়াভাবে বাইকে ধাক্কা দেয় ওই বেসরকারি বাস।
গড়িয়া স্টেশন থেকে দীঘা যাচ্ছিল বেসরকারি বাস। বিজন সেতুতে সেই সময় অ্যাপ ক্যাব নির্ভর বাইকটি উঠছিল, পিছনে বসেছিলেন একজন যাত্রীও। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, সেই সময় বেপরোয়াভাবে এসে বাসটি ধাক্কা মারে বাইকে। নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে রাস্তায় উল্টে পড়ে বাইকটি। পড়ে যান যাত্রী। তার উপর দিয়েই চলে যায় বাসটি। পুলিশ সূত্রে খবর, গুরুতর জখম হয়েছেন ওই যাত্রী। কোমরের নিচ থেকে তাঁর আঘাত লেগেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি রুবি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে অ্যাপ ক্যাব নির্ভর চালককেও। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কসবা ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ এবং সাউথ ইস্ট ডিভিশনের ট্রাফিক পুলিশ পৌঁছয়। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, "বিজন সেতুর মুখে দীঘার বাসটা ওভারটেক করে। ওভারটেক করেই বাইকটাকে মেরেছে।''
গত এক সপ্তাহে একের পর দুর্ঘটনা ঘটেছে রাজ্যে। গত ২১ জুলাই পথ দুর্ঘটনায় বাইক আরোহীর মৃত্যু হয়। মধ্যমগ্রামের কাজি নজরুল ইসলাম সরণিতে মাছের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল বাইক আরোহী মহম্মদ কাশেমের। গুরুতর আহত হন আরেক আরোহী। মৃতের বাড়ি মধ্যমগ্রামের আবদালপুরে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, পুলিশের টাকা তোলার জন্যই দুর্ঘটনা ঘটে। মাছের গাড়ির চালককে আটক করা হয়। এই ঘটনা মধ্যমগ্রামে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশের কিয়স্কে ভাঙচুর চালানো হয়। প্রায় একঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকে যশোর রোড। অবরোধ তুলতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বারাসাতের SDPO. এরপর মধ্যমগ্রাম থানায় চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। শেষমেশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ।
এরপর ২৩ জুলাই কাকদ্বীপে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে সরকারি বাসের সঙ্গে ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত হয়েছেন ১১ জন। এদের মধ্যে ছিলেন বাস ও ট্রাকের চালকও। ওইদিন সকাল ৭টা নাগাদ কাকদ্বীপের কামারহাটে কলকাতাগামী সরকারি বাসের সঙ্গে ট্রাকের মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। বাস ও ট্রাকের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফের দুর্ঘটনা ঘটে কাকদ্বীপে। বেপরোয়া ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হয় টোটো চালক ও যাত্রী-সহ ২ জনের। টোটোর আরেক যাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মধ্যরাতে কাকদ্বীপের অক্ষয়নগর- কালীনগরে দুর্ঘটনা ঘটে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টোটোর পিছনে ধাক্কা মারে ট্রাক। যাত্রী সমেত নয়ানজুলিতে পড়ে যান টোটো চালক। এক যাত্রী ও টোটো চালকের মৃত্যু হয়।






















