Mamata Banerjee:'মুখ্যমন্ত্রীর মতো কেউ করেননি..', সাক্ষাতের পর প্রশংসা কুড়মি নেতাদের
Kurmi Leader on Mamata: গ্রেফতারির পরেই বদলি,ঝাড়গ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ঢালাও প্রশংসায় কুড়মি নেতারা। কী বললেন এদিন তাঁরা ?
ঝাড়গ্রাম: গত মে মাসের ২৬ তারিখে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নবজোয়ার কর্মসূচিতে গড় শালবনিতে কনভয়ে হামলা হিরে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি।মন্ত্রীর গাড়ি ভাঙচুরে গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজেশ মাহাতো। গ্রেফতারির পরেই কুড়মি নেতা রাজেশকে খড়গপুর থেকে বদলি করা হয়েছিল কোচবিহারে।কিন্তু প্রকৃতই দায়ি কারা ? এনিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। সে সময় অভিযোগ উঠেছিল কুড়মিদের বিরুদ্ধে (Kurmi Agitation)। কিন্তু পরে শাসকদলের তরফে দাবি করা হয়েছিল, কুড়মি নয়, তাঁদের আড়ালে অন্য কেউ এই হামলায় যুক্ত রয়েছে।
এদিকে সেই ঘটনার পর দেখতে দেখতে ২ মাসের উপর পার হয়ে গিয়েছে। ঝাড়গ্রাম সফরে মুখ্যমন্ত্রী। আর এবার দেখা করলেন অভিষেকের কনভয়কাণ্ডে ধৃত কুড়মি নেতারা। আর ঝাড়গ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতেই ঢালাও প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন এবার কুড়মি নেতারা। তাঁরা বলেছেন, 'কুড়মি সমাজের জন্য যা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী, তা অন্য কেউ করেননি'।
মূলত আক্রমণের সঙ্গে কুড়মিদের যোগ রয়েছে কি না, এনিয়ে তৃণমূলের সভায়, বিজেপিকে তোপ দেগেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । মণিপুরের প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূল নেত্রীর দাবি ছিল, কুড়মি-আদিবাসীদের মধ্যে গন্ডগোল লাগাতে চাইছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, কুড়মিদের নাম করে বিজেপির স্লোগান দিয়ে, তারাই অত্যাচার করেছে। আসলে কুড়মি-আদিবাসীদের মধ্যে গন্ডগোল লাগাতে চাইছে। প্রচুর টাকা নিয়ে যে কাজে নেমেছে।'
ঘটনার দিন, গড় শালবনিতে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের কনভয়ের যাত্রাপথে আছড়ে পড়েছিল কুড়মি বিক্ষোভ। মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ির কাচ ভাঙার অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনার পর সেদিনের সভায় দাঁড়িয়ে মমতা বলেছিলেন, 'কুড়মিরা মারেনি। টার্গেট করেছিল অভিষেককে। মেরেছে বীরবাহাকে। বিজেপি আদিবাসী ও কুড়মিদের মধ্য়ে লড়াই লাগাতে চাইছে।'
আরও পড়ুন, 'টাকা ফেরত চাওয়ায় চাকরিপ্রার্থীকে হুমকি', জীবনকৃষ্ণের মোবাইলে বিস্ফোরক তথ্য
সেবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টেনে এনেছেন মণিপুরের প্রসঙ্গও। আগুন লাগলে কিন্তু সবার ঘরেই লাগে, এনআরসি নিয়ে আক্রমণ শানিয়েছিলেন মমতা। মমতার আক্রমণ, 'মণিপুরের মতোই জাতি হিংসা ছড়াতে চায় বিজেপি। এবার কুড়মি আর আদিবাসীদের মধ্যে লাগিয়ে দিতে চায় বিজেপি। গণ্ডগোল করাতে অনেক নেতাকে কয়েক কোটি টাকা দিয়েছে বিজেপি। অভিষেক, বীরবাহার কনভয়ে হামলা, কিন্তু কিসের জন্য? দিল্লি আমাকে চমকায়, কিন্তু আমি চোখ রাঙানি কেয়ার করি না।' যার পরে তাঁর আক্রমণ, 'অশান্তি ছড়িয়ে আর যাই হোক বাংলাকেও শেষ করা যাবে না, তৃণমূলকেও নয়'।