Lionel Messi : আদালতে যখন পেশ শতদ্রু দত্তকে, বাইরে এক হাতে চটি, অন্য হাতে বল নিয়ে বিক্ষোভে বিজেপি কর্মীরা !
Lionel Messi Shatadru Dutta BJP Protest: এক হাতে চটি, অন্য হাতে বল নিয়ে বিক্ষোভে বিজেপি কর্মীরা

কলকাতা: এদিন বিধাননগর আদালতে মেসি-শোয়ের মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তকে পেশ করা হয়। বাইরে তখন বিক্ষোভ বিজেপির। এক হাতে চটি, অন্য হাতে বল নিয়ে বিক্ষোভে বিজেপি কর্মীরা। যুবভারতীতে বিশৃঙ্খলায় গতকালই গ্রেফতার উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্ত । শতদ্রু দত্তর বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে।
ফুটবলের রাজপুত্রের সফরে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার সাক্ষী থেকেছে কলকাতা!শনিবারই বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয় আয়োজক শতদ্রু দত্তকে। রবিবার বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হলে, তাঁকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এদিন আয়োজক শতদ্রু দত্তর আইনজীবী দ্যুতিময় ভট্টাচার্য জামিনের পক্ষে সওয়াল করে বলেন, তাঁর মক্কেলকে এই মামলায় অন্যায়ভাবে অপরাধী করা হচ্ছে। তিনি ইভেন্ট ম্যানেজার। তিনি কেন দায়বদ্ধ হবেন? আগেও তিনি অনেককে এনেছেন। মেসির কাছে তাঁর নাম খারাপ হয়েছে।
রাজ্য সরকারের তরফে আইনজীবী অমিতাভ লাহা বলেন, উনি (শতদ্রু দত্ত) ইভেন্টের আয়োজন করেছেন। কে সামনে থাকবে, কে সামনে যাবে, সেটা ঠিক করবেন আয়োজকরা। FIR-এ বলা হয়েছে মেসি যখন মাঠে ঢোকেন, আয়োজকরা মাঠে ঢুকে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। যে কারণেই গ্য়ালারি থেকে কিছু দেখা যাচ্ছিল না। তারা নিজেরা লোকজন দিয়ে ঘিরে রেখেছিলেন। তাই দর্শকরা কিছু দেখতে পাননি।
কোনও পরিকল্পনা ছিল না। দর্শকদের (মেসিকে) দেখানোর দায়িত্ব আয়োজকদের। বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। এই অপরাধে জড়িত অন্যদের খুঁজে বের করা, প্রমাণ সংগ্রহ -সহ মোট ১০টি গ্রাউন্ডে শতদ্রু দত্তকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর সওয়াল করছি।
এদিকে, শতদ্রু দত্তকে যখন কোর্টে ঢোকানো হচ্ছে, তখন দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপি নেতা-কর্মীরা। শতদ্রু দত্তকে যে গাড়িতে করে বিধাননগর মহকুমা আদালতে আনা হয়, সেই গাড়ির দিকে জুতো হাতে তেড়ে যান বিক্ষোভকারী বিজেপি কর্মীরা। আদালতেও ঢুকে পড়েন কয়েকজন বিক্ষোভকারী। এক বিজেপি কর্মী বলেন, যাদের আবেগ নিয়ে...আত্মসাৎ করা হয়েছে। এই জুতো দিয়ে মারা উচিত সুজিত বসুকে। অরূপ বিশ্বাসকে জুতো দিয়ে মারা উচিত। দেশের বদনাম। আমাদের দেশের বদনাম। পশ্চিমবাংলার বদনাম।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন,সুজিতকে গ্রেফতার করা উচিত। অরূপকে গ্রেফতার করা উচিত। তারপর শতদ্রুকে গ্রেফতার করা উচিত। এই ঘটনায়, BNS বা ভারতীয় ন্যায় সংহিতার গুরুতর আঘাত,সরকারি কাজে বাধাদান,পুলিশকে মারধর, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারার পাশাপাশি ওয়েস্ট বেঙ্গল মেন্টেনেন্স অফ পাবলিক অর্ডার অ্য়াক্ট ১৯৭২-এর ধারাতেও মামলা রুজু করা হয়েছে।






















