Madhyamik Exam 2022: মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রাক্কালে কলকাতা পুলিশের জরুরি ঘোষণা
গত দুটো বছরের করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে ফের আগামীকাল থেকে অফলাইনেই শুরু হতে চলেছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। তার আগে জরুরি ঘোষণা করা হল কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে।
কলকাতা: রাত পোহালেই মাধ্যমিক পরীক্ষা। দুটো বছর পর করোনা পরিস্থিতির কাঁটা কাটিয়ে চিরাচরিত নিয়মেই হতে চলেছে বোর্ডের পরীক্ষা। ছাত্রছাত্রীদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে বোর্ডের পক্ষ থেকেও। তারইমাঝে জরুরি ঘোষণা করা হল কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে।
মাধ্যমিক পরীক্ষায় শহরে যাতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকে, তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে চলেছে কলকাতা পুলিশ। এদিন কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। যেখানে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় পরীক্ষার নির্দিষ্ট দিনগুলোয় কলকাতা শহর যানজটমুক্ত রাখতে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ পদক্ষেপ নিচ্ছে। পরীক্ষার এই নির্দিষ্ট দিনগুলি অর্থাৎ ৭ মার্চ ২০২২, ৮ মার্চ ২০২২, ৯ মার্চ ২০২২, ১১ মার্চ ২০২২, ১২ মার্চ ২০২২, ১৪ মার্চ ২০২২, ১৫ মার্চ ২০২২ এবং ১৬ মার্চ ২০২২ সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের আওতাধীন কোনও জায়গাতেই কোনও পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করতে পারবে না। অন্যান্য ট্রাফিক আইনের মতোই এই নিয়ম জারি থাকবে নির্দিষ্ট দিন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য।
প্রসঙ্গত, করোনা বিধি মেনেই হবে মাধ্যমিক পরীক্ষা। পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, পরীক্ষাকেন্দ্রে বসার ক্ষেত্রে থাকবে শারীরিক দূরত্ব। পরীক্ষার্থীকে মাস্ক পরে পরীক্ষায় বসতে হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রে কেউ অসুস্থ হলে থাকছে আইসোলেশন রুম। প্রশ্নপত্রের প্রতিলিপি বাইরে আসা আটকাতে নেওয়া হচ্ছে বিশেষ ব্যবস্থা। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে দাবি, পরীক্ষা শুরুর আগে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত বিভিন্ন জেলার স্পর্শকাতর এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১১টা ৪৫-এ। পরীক্ষা চলবে দুপুর ৩টে পর্যন্ত। প্রশ্নপত্র পড়ার জন্য ১৫ মিনিট সময় বরাদ্দ করা হয়েছে। এবছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যার নিরিখেও মাধ্যমিক পরীক্ষা তাত্পর্যপূর্ণ। এবছর মোট পরীক্ষার্থী ১১ লক্ষ ২৬ হাজার ৮৬৩ জন। প্রায় ৫০ হাজার বেড়ে রেকর্ড সংখ্যক পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৫৯। সেখানে ৬ লক্ষ ২৬ হাজার ৮০৪ জন ছাত্রী। পর্ষদ সূত্রে দাবি, গতবছর পরীক্ষা না দিয়েও ১০০ শতাংশ পাস করায় এবার পরীক্ষায় বসার দেদার আবেদনপত্র জমা পড়ে।