Maheshtala Child Labor: চুরির অপবাদে নাবালককে উল্টো ঝুলিয়ে অত্যাচার, গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত
Kolkata News: মহেশতলার কারখানায় কাজ করত ইসলামপুরের বাসিন্দা নাবালক। মোবাইল চোর অপবাদে কারখানায় উল্টো ঝুলিয়ে কিশোরকে ইলেকট্রিক শক দেওয়ার মতো ঘটনা সামনে এসেছে।

কলকাতা: মোবাইল চুরির অপবাদে নাবালককে নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতার (Maheshtala Child Labor Torture) করা হল মূল অভিযুক্তকে। মুম্বই থেকে গ্রেফতার শাহেনশাহ। এই মামলায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩। এখনও মেলেনি নাবালকের খোঁজ।
গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত: মহেশতলার কারখানায় কাজ করত ইসলামপুরের বাসিন্দা নাবালক। মোবাইল চোর অপবাদে কারখানায় উল্টো ঝুলিয়ে কিশোরকে ইলেকট্রিক শক দেওয়ার মতো ঘটনা সামনে এসেছে। বেধড়ক মারধরের সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। গতকালই এই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল মূল অভিযুক্ত। যদিও অভিযুক্ত গ্রেফতার হলেও নাবালকের খোঁজ মেলেনি। রবীন্দ্রনগর থানার পুলিশ মোবাইল টাওয়ারের সূত্র ধরে মূল অভিযুক্ত শাহেনশাহকে গ্রেফতার করেছে। মুম্বই থেকে তাকে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
নাবালকের বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের ছঘরিয়া এলাকায়। পরিবারের দাবি, ঘটনার পর থেকেই খোঁজ নেই নাবালকের। ইতিমধ্যেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে পরিবার। এই ঘটনার প্রতিবাদে ইসলামপুরেও বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। এই ঘটনায় এক দাবি, মোবাইল চোর হিসেবে ওরই নাম নিয়েছিল। তিনদিন ধরে মারছিল ওকে। শেষদিন ওকে উল্টো করে ঝুলিয়ে বেল্ট ও লাঠি দিয়ে মারছিল। ৩-৪ দিন ওকে ভাত দেয়নি। কোনও খাবার দেয়নি।' পরিবারের দাবি, গত ২৮ মে তার মোবাইল চুরি হয়ে গিয়েছে বলে ওই নাবালকের পরিবারকে ফোন করে মূল অভিযুক্ত।মোবাইলে ২ লক্ষ টাকা ছিল। সেটাও চাই বলে দাবি করে নাবালকের পরিবারের কাছে। এরপর থেকেই খোঁজ মিলছে নাবালকের। ফেরার হয়ে যায় মূল অভিযুক্তও। শাহেনশাহ বা বাকিরা কেউ নাবালককে কি কেউ লুকিয়ে রেখেছে? উঠছে সেই প্রশ্ন।
এদিকে গুজরাতে সিটি গোল্ডের কাজে গিয়ে মালিকের হাতে অত্যাচারিত এক বালক। কালনা থানার অন্তর্গত উপলতি এলাকায় বাড়ি বছর বারোর ওই নাবালকের। বছর দুয়েক আগের পারিবারিক অর্থনৈতিক অনটনের কারণে গুজরাতের রাজকোটে, কালনার শিকারপুরের এক বাসিন্দা হাঁপান মল্লিকের সঙ্গে সিটি গোল্ডের কাজে যায়। অভিযুক্ত হাঁপান গুজরাতে তাঁর কাছে ছেলের মতন রাখবে ও কাজ শেখাব বলে নিয়ে যায়। কিন্তু অভিযোগ, গুজরাতে গিয়েই অত্যাচার শুরু করে দেয় ওই বালকের উপর। এমনকি বাড়িতে ঠিক মতন কথাও বলতে দিত না। দিনদুয়েক আগে এক ব্যক্তির সঙ্গে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছয় সে। এরপর তাকে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। আপাতত কালনা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।























