Maheshtala Chaos: গোষ্ঠীসংঘর্ষে ধুন্ধুমার মহেশতলায়; পুলিশকে আক্রমণে গ্রেফতার ৪০, ৭টি FIR দায়ের
Maheshtala Situation: দোকান বসানো নিয়ে ২ গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় মহেশতলা। ইটবৃষ্টি থেকে ভাঙচুর, বাদ যায়নি কিছুই। রক্ত ঝরেছে উর্দিধারীদেরও। পাল্টা অ্যাকশনে নামে পুলিশও।

কলকাতা: গোষ্ঠীসংঘর্ষে ধুন্ধুমারকাণ্ডের পর থমথমে মহেশতলা। পুলিশকে আক্রমণের ঘটনায় গ্রেফতার ৪০ জন। ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ এবং জেলা পুলিশের হাতে পাকড়াও ২৮। এই ঘটনায় মোট ৭টি FIR দায়ের করা হয়েছে। মহেশতলায় ১৬৩ ধারা জারি। পুলিশের তরফে মাইকে প্রচার করা হচ্ছে।
গোষ্ঠীসংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ মহেশতলা। গন্ডগোল থামাতে গিয়ে থানার সামনেই মার খেল পুলিশ। পুলিশের সামনেই চলল ইটবৃষ্টি, দোকান লুঠপাট, ভাঙচুর, জ্বলল আগুন। স্থানীয়দের দাবি, দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে গতকাল সকাল ১১টা থেকে রবীন্দ্রনগর থানার সামনে গন্ডগোল বাধে। এরপর দুপুরে আক্রা বাজারের মধ্যে ইটবৃষ্টি শুরু হয়। দোকানপাট ভাঙচুর করে চলে লুঠপাট। পর্যাপ্ত পুলিশ না থাকায় পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ঘটনার পর রাতভর এলাকায় অভিযান চালায় ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলা ও কলকাতা পুলিশ। চলে ধরপাকড়। মহেশতলায় ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে। এই ঘটনায় মোট ৭টি FIR দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে নাদিয়াল থানায় ৪টি এবং রবীন্দ্রনগর থানায় দায়ের হয়েছে ৩টি FIR. এখনও পর্যন্ত ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
২ গোষ্ঠীর মধ্য়ে বিবাদের জেরে বুধবার তুমুল সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয় মহেশতলায় পুলিশকে লক্ষ্য় করে মুহুর্মুহু পাথর, ইট ছোঁড়া হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে, মহেশতলার রবীন্দ্রনগরের এই এলাকায়, ২ গোষ্ঠীর মধ্য়ে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষের জেরে এলাকার একাধিক বাড়িতে তাণ্ডব চালানো হয়। ভাঙচুর চালানো হয় রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে শুরু হয় ইঁটবৃষ্টি, পাথর ছোড়া। রেহাই পাননি মহিলা কনস্টেবলরাও। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাল্টা টিয়ার গ্য়াসের সেল ছোঁড়ে পুলিশ। লাঠিচার্জ করতে হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গোটা এলাকা বিশাল বাহিনীতে মুড়ে ফেলা হয়।
এদিন সকাল থেকেই দোকানপাট বন্ধ। একের পর এক ভাঙা গাড়ি। এখানে-ওখানে পড়ে আছে ইটের টুকরো। রবীন্দ্রনগর থানার সামনেই তাণ্ডবের ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয়রা। এলাকাবাসীর প্রশ্ন, পুলিশ কোথায় ছিল? গন্ডগোল শুরু হওয়ার পরেও কেন পুলিশ তৎপর হল না? কীভাবে পুলিশের সামনে অবাধে ভাঙচুর, লুঠপাট চলল? পুলিশই যদি মার খায়, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? যদিও ঘটনার পর টনক নড়েছে প্রশাসনের। এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।






















