Malda Flood: বাঁধ ভেঙে প্লাবিত এলাকা, আতঙ্কে ভূতনি দ্বীপের বাসিন্দারা
Malda News: অঝোর বৃষ্টির মধ্যেই বাঁধ ভেঙে প্লাবিত মালদার মানিকচকের ভূতনি দ্বীপের একাংশ। আজ সকালে ফুলহার নদীর প্রায় ৫০ মিটার অংশে রিং বাঁধ ভেঙে যায়।

অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: বাঁধ ভেঙে প্লাবিত মালদার মানিকচকের ভূতনি দ্বীপের একাংশ। আজ সকালে ফুলহার নদীর প্রায় ৫০ মিটার অংশে রিং বাঁধ ভেঙে যায়। হু-হু করে জল ঢুকতে শুরু করে ভূতনির দক্ষিণ চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। আতঙ্কিত গোটা দ্বীপের বাসিন্দারা।
অঝোর বৃষ্টির মধ্যেই বাঁধ ভেঙে প্লাবিত মালদার মানিকচকের ভূতনি দ্বীপের একাংশ। আজ সকালে ফুলহার নদীর প্রায় ৫০ মিটার অংশে রিং বাঁধ ভেঙে যায়। হু-হু করে জল ঢুকতে শুরু করে ভূতনির দক্ষিণ চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এর মধ্যেই আজ সকাল থেকে ভূতনিতে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ভূতনি দ্বীপে উত্তর চণ্ডীপুর, দক্ষিণ চণ্ডীপুর ও হীরানন্দপুর, এই ৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের বাস। চারপাশে রিং বাঁধ ঘেরা এই দ্বীপ। ফুলহার নদীর বাঁধের একাংশ ভেঙে যাওয়ায় আতঙ্কিত গোটা দ্বীপের বাসিন্দারা। বাঁধ ভাঙা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রর অভিযোগ, বাঁধ ভাঙেনি, বালির বস্তা সরিয়ে জল ঢুকতে সাহায্য করেছে বাম-বিজেপি। বিরোধীদের দাবি, ১ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা দিয়ে বাঁধের কাজ করা হয়েছে। সরকারি টাকা যে নয়ছয় হয়েছে, এই ঘটনা তার প্রমাণ।
এদিকে বর্ষায় গঙ্গায় জলস্তর বাড়তেই মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে শুরু হয়েছে ভয়াবহ ভাঙন। স্রোতের জেরে ঘনঘন ভাঙছে পাড়। কখনও শিকড় সুদ্ধ উপড়ে নদীতে আছড়ে পড়ছে গাছ। আবার কখনও তলিয়ে যাচ্ছে কংক্রিটের বাড়ি। মাথার উপর ছাদ, পায়ের তলার মাটি সরছে জেনেও নিরুপায় সামশেরগঞ্জের উত্তর চাচণ্ড এলাকার বাসিন্দারা। সোমবার মাঝরাত থেকেই সামশেরগঞ্জের উত্তর চাচণ্ড ও মধ্য চাচন্ড এলাকায় শুরু হয়েছে ভাঙন। ঠাঁই হারানোর আশঙ্কায় অনেকে জিনিসপত্র নিয়ে পাড়ি দিয়েছেন অন্য়ত্র। কেউ আবার প্রাণ হাতে করেই ভিটেমাটি আঁকড়ে পড়ে রয়েছেন। গ্রামের প্রাচীন মন্দিরও ভাঙনের মুখে। ওই এলাকার এক বাসিন্দা মেজাউর রহমান বলেন, " একটা-দেড়টার দিকে ভাঙনটা শুরু হয়। বাড়ির এক সদস্য তখনও জেগে ছিল বলে জানতে পারে। নাহলে তো বাকি সদস্য সব ঘুমিয়ে ছিল। বাকিরা জেগে কোনওরকমে প্রাণ নিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে। জিনিসপত্র সব ভিতরেই ছিল। সব সহ একদম পুরো তলিয়ে যায়।'' আরেক বাসিন্দা বাপি সিংহ বলেন, "পুজো তো প্রতি বছরই হয়। এবারও আমরা দুর্গাপুজোর জন্য এখন প্রস্তুতি শুরু করেছিলাম। রাত পর্যন্ত আমাদের মিটিং হয়েছে, প্যান্ডেল বা কিছু নিয়ে। কিন্তু সবই আমাদের এবার বিসর্জন দিয়ে দিতে হল আগেই।''






















