Suvendu Adhikari: হবিবপুরে শুভেন্দুর সভার অনুমতি বাতিল, আজই আদালতে যাচ্ছে BJP
Malda News: যদিও পুলিশের দাবি, ওই একইদিনে মানিকচকেও সভা রয়েছে শুভেন্দুর। দু'টি জায়গায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা সম্ভব নয়।
করুণাময় সিংহ, হবিবপুর: নন্দীগ্রাম, চন্দ্রকোণা, পটাশপুর, সিমলাপালের পর মালদার হবিবপুর। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভার অনুমতি ঘিরে ফের জটিলতা। সেই নিয়ে বৃহস্পতিবারই আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে বিজেপি। আগামী শনিবার হবিবপুরে শুভেন্দুর সভা রয়েছে। বিজেপি-র (BJP) অভিযোগ, ওই সভার জন্য ১৮ মে পুলিশের অনুমতি চাওয়া হয়। ১৯ তারিখ অনুমতি দেয় পুলিশ। কিন্তু আচমকাই গতকাল অনুমতি বাতিল করে হবিবপুর থানা (TMC)।
হবিবপুরে সভার অনুমতি বাতিল করেছে পুলিশ
যদিও পুলিশের দাবি, ওই একইদিনে মানিকচকেও সভা রয়েছে শুভেন্দুর( Malda news)। দু'টি জায়গায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা সম্ভব নয়। হবিবপুরের ক্ষেত্রে জমির মালিকের অনুমতি নেওয়া হয়নি, আবার নিয়ম মেনে আবেদনও ১৫ দিন আগে করা হয়নি, এই কারণ দেখিয়েই শুভেন্দুর হবিবপুরে সভার অনুমতি বাতিল করেছে পুলিশ।
যদিও বিরোধী দলনেতার সভা বাতিলের নেপথ্যে তৃণমূলের হাত দেখছে গেরুয়া শিবির। এ নিয়ে শাসকদলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত পর্যন্তও মহাকুমা শাসকের তরফে মাইক বাজানোর অনুমতি ছিল। কিন্তু রাতে সভার অনুমতি বাতিল করে দেয় হবিবপুর থানার পুলিশ।
এমনকি গতকাল মাইক বাজানোর অনুমতি দেওয়া হয় মহাকুমা শাসকের তরফে। কিন্তু এরপর রাতে সভার অনুমতি বাতিল করে দেয় হবিবপুর থানার পুলিশ। একই দিনে মানিকচকে সভা রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর সেই কারণে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়ন করা সম্ভব নয়, জমির মালিকের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়নি এবং ১৫ দিন আগে আবেদন করা হয়নি বলে অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে বলে হবিবপুর থানা উল্লেখ করে চিঠিতে। আর এতেই বেজায় ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতৃত্ব।
তৃণমূল কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি
উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, "রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ভয় পেয়েছে। উত্তর মালদায় পঞ্চায়েতে তৃণমূল ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে। আর সেই কারণে তৃণমূলের অঙ্গুলীহেলনে বিরোধী দলনেতার সভার অনুমতি দিল না পুলিশ।" যদিও এই বিষয়ে এখনও তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
গ্রামবাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের লড়াইয়ে নামার আগে জনসংযোগে শান দিতে ব্যস্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। কিন্তু, তার মধ্যেই বিরোধী দলনেতার সভা-মিছিলের অনুমতি ঘিরে বারবার বাধছে সংঘাত।