Malda News : দৃষ্টিহীন বাবার মেয়ে আবেদন করেও পেলেন না রূপশ্রী, উল্টে 'কাটমানি' ;চাইলেন সরকারি আধিকারিকরা
Rupashree Scheme : দৃষ্টিহীন বৃদ্ধের পক্ষের এই টাকা জোগাড় করা অসম্ভব ছিল। অভিযোগ, কাটমানির টাকা জোগাড় করতে না পারায় আবেদন খারিজ হয়ে যায়।
করুণাময় সিংহ, মালদা : মালদার চাঁচলের জালালপুরে বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন দৃষ্টিহীন। নুন আনতে পান্তা ফুরোনের সংসারে মেয়ের বিয়ে দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছিলেন। কিছু আর্থিক সাহায্যের আশায় রাজ্য সরকারি প্রকল্প রূপশ্রীর জন্য আবেদন করেন। কিন্তু আবেদনই সার, টাকা দেওয়ার আগেই টাকা চাওয়ার পর্ব শুরু হয় বলে অভিযোগ। আনোয়ারের দাবি, মেয়ের বিয়ের দিন তাঁর বাড়িতে আসেন সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকরা। অভিযোগ, রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা দেওয়ার আগে ১০ হাজার টাকা কাটমানি চাওয়া হয়।
দৃষ্টিহীন বৃদ্ধের পক্ষের এই টাকা জোগাড় করা অসম্ভব ছিল। অভিযোগ, কাটমানির টাকা জোগাড় করতে না পারায় আবেদন খারিজ হয়ে যায়। আজিমা খাতুনের দৃষ্টিহীন বাবার অভিযোগ, ' আমাদের বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর কিছু পয়সা চেয়েছিল। পয়সা না দিতে না পারায় আমার প্রকল্প রিজেক্ট হয়েছে।'
স্থানীয় তৃণমূল নেতা মোবারক হোসেন যদিও আশ্বাস দিয়েছেন, 'আমি বিডিও সাহবের সঙ্গে দেখা কবর, যতটা হয় সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।' পাল্টা তৃণমূলের দিকেই দুর্নীতির দায় চাপিয়েছেন বিজেপি। স্থনীয় বিজেপি নেতা অয়ন রায়, জানান, 'গোটা রাজ্য জুড়ে এই যে, রূপশ্রী, কন্যাশ্রী, তৃণমূলের যতগুলো শ্রী বেরিয়েছে সব গুলোতেই দুর্নীতি। এর মধ্যে রাজ্য সরকার, প্রশাসনের সব লোকও যে জড়িত বোঝাই যাচ্ছে'
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই রূপশ্রী প্রকল্প বিবাহযোগ্য মেয়েদের জন্য । রাজ্য সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে, যাতে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের বিয়ের সময় বাবা-মা অর্থ সঙ্কটে না পড়েন। এই প্রকল্পের আওতায় একটি মেয়ে বিবাহযোগ্য হলে, তাঁর বিয়ের সময় এককালীন ২৫,০০০/- টাকা দেওয়া হয়। যে সব পরিবারের বার্ষিক আয় দেড় লাখের থেকে কম, তারাই পেতে পারেন এই প্রকল্পের সুবিধা। শর্ত , আবেদনকারীদের বয়স ১৮ বছর হতে হবে। অবিবাহিত হতে হবে। অবশ্যই তার প্রথম বিবাহ হতে হবে। হবু পাত্রের বয়স ২১ বছর হতে হবে। এছাড়া আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। আবেদনকারীর নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই সরাসরি টাকা পাঠায় সরকার। ফর্মের সঙ্গে বিবাহের আমন্ত্রণ পত্র জমা করতে হবে।
চল ২ নম্বর ব্লকের বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন আনোয়ার হোসেন। ঘটনা জানতে পেরে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: আরও পড়ুন: প্রথম দিনেই ৬৮ হাজার আবেদন! কেমন কাজ করল কলেজে ভর্তির পোর্টাল?