Malda News: আচমকাই দাঁড়াল লরি, রাতের অন্ধকারে 'RTA মেম্বার বোর্ড' লাগানো গাড়ি এগোতেই..
Charge of Extorting Money : রাতের অন্ধকারে রাস্তায় আরটিএ মেম্বার বোর্ড লাগানোর গাড়ির সামনে আসতেই পরপর দাঁড়িয়ে পড়ছে লরি, সন্দেহ হতে এগিয়ে এল পুলিশের গাড়ি..
করুণাময় সিংহ, মালদা: আরটিএ মেম্বার বোর্ড (RTA Member) লাগানো গাড়িতে করে তোলাবাজির অভিযোগ। লরি দাঁড় করিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করার অভিযোগ চার যুবকের বিরুদ্ধে। পুলিশ পেট্রোলিং এর সময় বিষয়টি নজরে আসতেই গ্রেফতার চার অভিযুক্ত।
রাতের অন্ধকারে 'RTA মেম্বার বোর্ড' লাগানো গাড়ি এগোতেই..
রাস্তায় দাঁড়ানো একটি গাড়িতে লাগানো রয়েছে মেম্বার লাগানো বোর্ড। রাস্তায় দাঁড় করিয়ে সেই গাড়ি থেকে থামানো হচ্ছে দূরপাল্লার লরি। দাবি করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। কোনও গাড়ি থেকে দশ হাজার আবার কোনও গাড়ি থেকে তার বেশি টাকাও দাবি করা হচ্ছে। রাতে পেট্রোলিং এর সময় বিষয়টি নজরে আসে গাজল থানার পুলিশ আধিকারিকদের। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশকর্মীরা বুঝতে পারেন গাড়িতে বোর্ড লাগিয়ে তোলাবাজি করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় ওই চারজনকে। তারপর থানায় নিয়ে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় গাড়ির মালিক রূপম সমাজদার(২৭), ফালানু হাজরা (২৬), কাজল হালদার (৩০)।
বিজেপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ
তিন জনের বাড়ি বামন গোলা থানার মহেশপুর এলাকায়। এই তিন জনের সঙ্গে গ্রেফতার হয় ইংরেজবাজার শহরের ঝলঝলিয়া এলাকার বাসিন্দা দেবব্রত চৌধুরী (৩০)। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। রাজ্য বিজেপি যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায় বলেন, সরকারি আমলা ও তৃণমূল নেতাদের মদতে এই ধরনের তোলাবাজির ঘটনা ঘটছে। কেবলমাত্র মালদায় নয় গোটা রাজ্যজুড়েই এই ধরণের ঘটনা চলছে। বিজেপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন তিনি।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গাজোল থানার পুলিশ
আরও পড়ুন, তৃণমূল নেতা শঙ্কর সর্দারকে গ্রেফতারের দাবি, ফের বিক্ষোভের আগুন বেড়মজুরে
মালদা জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, এই ঘটনার পেছনে বিরোধীদের ষড়যন্ত্র রয়েছে। যারা ঘটনায় অভিযুক্ত তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। মালদা আরটিএ বোর্ডের মেম্বার অমল কিস্কু জানিয়েছেন, যারা গ্রেফতার হয়েছে তাদের কাউকেই তিনি চেনেন না। এই ঘটনায় তোলাবাজির চেষ্টার অভিযোগ এর ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গাজোল থানার পুলিশ। ভুয়ো আইপিএস, ভুয়ো আইএএস-এই থেমে নেই। আরও ভুরিভুরি অভিযোগ রয়েছে অতীতে। চলতি বছরেই ভারত সরকার লেখা নীলবাতি গাড়ির ব্যবহার ও তার পাশাপাশি রেলের কর্মী-আধিকারিকের ভুয়ো পরিচয় দেওয়ার অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।