Malda News: বন্যাত্রাণের ৭৬ লক্ষ টাকা তছরূপের অভিযোগ! থানায় আত্মসমর্পন তৃণমূল নেতার
Malda News: কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত, ফেরার তৃণমূল (TMC) নেতা আত্মসমর্পণ করলেন থানায়। তৃণমূলের আরও ২ অভিযুক্ত এখনও ফেরার।
অভিজিত্ চৌধুরী, মালদা: হরিশ্চন্দ্রপুরে বন্যাত্রাণ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা (TMC Leader) থানায় আত্মসমর্পণ করলেন। এখনও এই মামলায় আরও ২ অভিযুক্ত ফেরার। এ নিয়ে শাসক দলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি (BJP)। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও (tmc)।
সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশের এক সপ্তাহের মধ্যেই, থানায় আত্মসমর্পণ করলেন অভিযুক্ত। মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুরে (Harishchandrapur) বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতে বন্যাত্রাণের ৭৬ লক্ষ টাকা তছরূপের অভিযোগে দায়ের হয় মামলা।
কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত, ফেরার তৃণমূল (TMC) নেতা আত্মসমর্পণ করলেন থানায়। তৃণমূলের আরও ২ অভিযুক্ত এখনও ফেরার। ২০১৭ সালে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে, বন্যাত্রাণে কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দের ৭৬ লক্ষ টাকা তছরূপের অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্তর তালিকায় ছিলেন
মালদার বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের তত্কালীন তৃণমূলের প্রধান সোনামণি সাহা, হরিশ্চন্দ্রপুর (Harishchandrapur) ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির তত্কালীন কর্মাধ্যক্ষ রোশেনারা খাতুন এবং তৃণমূল নেতা আফসার হোসেন।
ত্রাণ কেলেঙ্কারির অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata Highcourt) দ্বারস্থ হন বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস সদস্য আব্দুল মান্নান। তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। এরপর তিন অভিযুক্তই সুপ্রিম কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানান। ১১ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে অভিযুক্তদের ১৪ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেয়। পুলিশ সূত্রে দাবি, বৃহস্পতিবার রাতে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় আত্মসমর্পণ করেন তৃণমূল নেতা আফসার হোসেন।
আত্মসমর্পণকারী তৃণমূল নেতা (TMC) আফসার হোসেনের কথায়, আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আইন আইনের পথে চলবে। পুলিশ সঠিক তদন্ত করুক বড় বড় রাঘব-বোয়াল সব উঠে আসবে।
এই ঘটনায় শাসক-বিরোধীর মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন, তৃণমূল নেতা আফসার হোসেন গভীর রাতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন। সুপ্রিম কোর্ট জামিন খারিজ করে দেয়। তাই আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছেন। বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সোনা মনি সাহা এবং পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধক্ষ্য রোশনারা খাতুন ও অভিযুক্ত এই দুর্নীতিতে। তাদেরকেও আত্মসমর্পণ করতে হবে।
আদালত সূত্রে খবর, এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিয়েছে, আগামী তিন মাসের মধ্যে অভিযোগের তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে হবে কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলকে।