Malda News: এপ্রিলে চড়কের মেলা, বাকি ১১ মাস ফসল ফলান কৃষকরা, সরকারি জমি দখলে রণক্ষেত্র মালদা
Malda Agitation Clash: সরকারি জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশকে ঘেরাও করে ধাক্কাধাক্কি, রণক্ষেত্র পরিস্থিতি মালদায়, মূূল অভিযুক্ত কে ?..
করুণাময় সিংহ,মালদা: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) আদিবাসীদের জমি ও মাছের ভেড়ির দখলের অভিযোগ উঠেছে ইতিমধ্যেই শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে (Sheikh Shahjahan)। যা নিয়ে ভোটের আগে শাসকদলের দিকে আঙুল তুলেছে বিরোধী দলগুলি তো বটেই। অভিযোগের আঙুল তুলেছেন সন্দেশখালির বাসিন্দারাও। এবার ভোটের আগে নতুন করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলল মালদার স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও শাসকদল, বিজেপিকেই (BJP) কাঠগড়ায় তুলেছে। মূলত সরকারি জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে পুলিশকে ঘেরাও করে ধাক্কাধাক্কি হয় বলে অভিযোগ। পাল্টা পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনা সামনে এসেছে। তারপরেই পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু হয়। লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয় এদিন মালদায় (Malda)। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে শেষমেষ আসেন বিজেপি-তৃণমূল নেতারা (BJP-TMC)।
'অভিযুক্তরা তৃণমূল কর্মী'
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, অভিযুক্তরা তৃণমূল কর্মী। পাল্টা তৃণমূলের দাবি, মূল অভিযুক্ত বিজেপির বুথ সভাপতি। যদিও বিজেপির মতে এটা গ্রাম্য বিবাদ। পরবর্তীতে আইসির হস্তক্ষেপে উঠে যায় অবরোধ এবং নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। মঙ্গলবার মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার হাই স্কুল পাড়ার নয়াটোলা গ্রামের এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা এলাকায়।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামে ১৮ বিঘার একটি সরকারি খাস জমি রয়েছে। যে জমিতে চড়ক মেলা হয়। এখনো চড়কের সময় পুজো হয়। মন্দির কমিটির অধীনেই ছিল জমি। সেখানে গ্রামের কৃষকেরা চাষ করে জীবিকা উপার্জন করে। অভিযোগ স্থানীয় কৃষ্ণ মহালদার, বিনোদ মহলদার, কানাই মহালদার নামে তিন ব্যক্তি ওই জমির মধ্যে ছয় বিঘা জমি বেআইনি ভাবে নিজেদের নামে রেকর্ড করে নেয়।
পুলিশকেও ঘেরাও, পাল্টা লাঠিচার্জ পুলিশের,পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ
গ্রামবাসীরা এদিন সকালে যখন চাষ করতে যায় সেই সময় কৃষ্ণ মহালদাররা বাধা দান করে। তারপরে বিবাদের সূত্রপাত। ঘটনাস্থলে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ পৌঁছালে পুলিশকেও ঘেরাও করে রাখে গ্রামের মানুষ। শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাল্টা লাঠিচার্জ পুলিশের। ব্যাপক উত্তপ্ত হয়ে উঠে পরিস্থিতি।পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এলাকাবাসী। আইসি মনোজিৎ সরকার ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। দীর্ঘক্ষণ পর উঠে অবরোধ। অন্যদিকে ঘটনাস্থলে যান হরিশ্চন্দ্রপুর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি সঞ্জীব গুপ্তা, হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির উপ-প্রধান অজয় পাশোয়ান।
আরও পড়ুন, টর্নেডোতে মানুষের সর্বনাশে তৃণমূলের পৌষমাস : BJP
'যারা জমি দখল করছে তারা তৃণমূল কর্মী..'
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, যারা জমি দখল করছে তারা তৃণমূল কর্মী।তাই তারা এত প্রভাব বিস্তার করতে পারছে। যদিও তৃণমূলের দাবি কৃষ্ণ মহালদার বিজেপির বুথ সভাপতি। বিজেপি নেতৃত্বের মতে এই সব ঘটনার সঙ্গে দলীয় কোন সম্পর্ক নেই।হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি, মনোজিৎ সরকার বলেন পুলিশকে ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল। লাঠিচার্জ হয়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক ভিক্টর সাহা জানান নিয়ম অনুযায়ী ওই জমি পুনরুদ্ধার করা হবে।