Malda News: ত্রিকোণ প্রেমের জেরে 'খুন' ? মালদায় সিভিক ভলান্টিয়ারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
Malda Civic Volunteer Body Found: মালদার চাঁচলে সাতসকালে বাড়ির পাশে আমবাগান থেকে সিভিক ভলান্টিয়ারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। 'খুন'-র অভিযোগ পরিবারের।

করুণাময় সিংহ,মালদা: সাতসকালে বাড়ির পাশে আমবাগান থেকে সিভিক ভলান্টিয়ারের (Civic Volunteer) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার (Murder Case)। 'খুন'-র অভিযোগ পরিবারের। মালদার চাঁচলের গোপালপুরের ঘটনা। মৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম মঞ্জির ঔরঙ্গজেব।
পরিবারের অভিযোগ, কিছুদিন আগে বাড়ি এসে মঞ্জিরকে নিজের কাছে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন এক মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার। এরপর গতকাল রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি বছর পঁচিশের মঞ্জির।আজ সকালে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।ত্রিকোণ প্রেমের জেরে খুন কি না, খতিয়ে দেখছে চাঁচল থানার পুলিশ। তবে সত্যিই যদি খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে, তবে এক্ষেত্রেও এই ঘটনা নৃশংসতা ছাড়াবে। প্রসঙ্গত, বারবারই এমনই ঘটনা প্রকাশ্য়ে উঠে আসছে। ত্রিকোণ প্রেমের জেরে খুনের ঘটনা যেমন একুশ সালেও ভুরি ভুরি উদাহরণ এসেছে। তেমন বাদ যায়নি বাইশ। বসিরহাট থেকে শুরু করে নদিয়া, সর্বত্রই এহেন ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কখনও বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের জেরে নিজের স্বামীকেই খুনের ঘটনা এসেছে। তেমনই পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগেও কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছে স্বামী। তবে ত্রিকোণ প্রেমের বাইরে, রাজনৈতিক ইস্যুতে খুনের অভিযোগেও একাধিকবার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর, প্রথমে আত্মহত্যা কথা বলা হলেও, পরে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে এক্ষেত্রে সত্যিই খুন হয়েছে কিনা, ময়নাতদন্ত করা হলে জানা যাবে।
আরও পড়ুন, বাগুইআটিকাণ্ডে তদন্তে সিআইডি-র হোমিসাইড শাখা
২০১৮ সালেও প্রায় এমনই একটি রহস্যমৃত্যুর ঘটনা ঘটে কৈখালিতে। এয়ারপোর্ট থানার কৈখালিতে এক মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারের রহস্যময়ভাবে মৃত্যু হয়। হাত পা বাঁধা অবস্থায় তাঁর স্বামীকে উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হয়, সন্দেহের বশে স্বামীই খুন করেছেন স্ত্রীকে। মৃতের নাম শম্পা দাস। চিড়িয়া মোড়ে নিজের বাড়িতে সিঁড়ির উপর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় নিউটাউন থানার এই সিভিক ভলান্টিয়ারের দেহ। বাড়ির উপরের ঘর থেকে তাঁর স্বামী সুপ্রতিমকে চেয়ারে হাত পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে শম্পাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। আরজিকর হাসপাতালে চিকিৎধীন তাঁর স্বামীও। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। সুপ্রতিমের দাবি, রাত আটটা নাগাদ কয়েকজন বাড়িতে এলে লুঠপাট চালায়, তারাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। কিন্তু এই দাবি মানতে রাজি নয় পুলিশ। তাদের ধারণা, সন্দেহের বশে সুপ্রতিমই স্ত্রীকে খুন করেছেন।






















