Malda News: 'সিগারেটের আগুনে' পুড়ে ছাই দোকানঘর ও বসতবাড়ি, দগ্ধ গবাদি পশুও
Malda Massive Fire: ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই ১৫ টি দোকান ঘর ও বসতবাড়ি, ক্ষয়-ক্ষতি কয়েক লক্ষাধিক।
অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: নববর্ষে তীব্র দাবদাহের মাঝেই আগুনের গ্রাসে মালদার একের পর এক দোকানঘর ও বসতবাড়ি (Massive Fire in Malda)। রক্ষা পায়নি গবাদি পশুও। বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডটি ঘটেছে সোমবার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের হোসেনপুর গিদরমারি বাজারে। আর ওই এলাকা ঘিঞ্জি হওয়ায় সেখানে আগুন (Fire) ছড়িয়ে পড়তে খুব বেশি সময় লাগেনি। বিপুল অঙ্কে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
দুটি গবাদি পশু পুড়ে দগ্ধ
প্রথমদিকে স্থানীয়রা ছুটে এসে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগালেও তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। খবর দেওয়া হয়, তুলসীহাটা দমকল অফিসে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের দুটি ইঞ্জিন। তবে দমকল পৌঁছানোর আগেই ১৫টির বেশি দোকান আগুনে পড়ে ছাই হয়ে যায় বলে খবর। এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া না গেলেও দুটি গবাদি পশু পুড়ে দগ্ধ হয়ে গিয়েছে। সিগারেটের আগুন থেকেই এই অগ্নিকাণ্ডটি ঘটেছে বলে প্রাথমিক অনুমান স্থানীয়দের।
'ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় কোটি টাকার বেশি'
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আজ দুপুর বারোটা নাগাদ প্রথমে একটি দোকানে আগুন দেখা যায়। পরবর্তী সময়ে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে বেশ কয়েকটি দোকান ও বসতবাড়িতে। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা।বড় আকার নিয়েছিল আগুন।অল্পের জন্য রক্ষা পেল দুইটি গ্রাম। জানা যায়,এই বাজারে ছিল চায়ের দোকান,মুদির দোকান,ওষুধের দোকান ও ফার্নিচারের দোকান-সহ বসতবাড়ি। বিধ্বংসী আগুনে দোকানঘরগুলি পুড়ে কাঠকয়লায় পরিণত হয়েছে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় কোটি টাকার বেশি বলে অনুমান।
পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ
সম্প্রতি ভরদুপুরে ভয়াবহ আগুনের (Massive Fire) গ্রাসে গিয়েছিল রানিনগর ১ নম্বর ব্লকের লোচনপুর পঞ্চায়েতের শ্রীরামপুর এলাকা । আগুনে (Massive Fire) পুড়ে ভস্মীভূত প্রায় ২৫টি বাড়ি। দমকল ও পুলিশ দেরিতে আসায় ক্ষোভ গিয়ে পড়েছিল পুলিশের গাড়িতেও (Police Car)। একটি পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল।
আরও পড়ুন, 'তিহাড় যাওয়ার লাইন পড়ে গেছে', অভিষেকের পাল্টা সভা শুভেন্দুর
মূলত চলতি মাসের গত সপ্তাহে শ্রীরামপুর এলাকায় একটি বাড়িতে হঠাতই আগুন লেগে গিয়েছিল। সেই আগুন ক্রমশই ভয়ানক আকার নিয়েছিল। আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে আশেপাশের বাড়িতে। স্থানীয়রা আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। জল দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়েছিল স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয়েছিল দমকলেও। যদিও দমকল অনেক দেরিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল বলে অভিযোগ। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে স্থানীয়রা। সেই রোষ গিয়ে পড়েছিল পুলিশের গাড়িতে।