Mamata Banerjee At Darjeeling : ‘দিল্লির লাড্ডু খাবেন না, দার্জিলিঙের লাড্ডুই অনেক’
Mamata Banerjee At Darjeeling : পাহাড়ে সবাইকে এককাট্টা হওয়ার ডাক দিয়ে তিনি বলেন, শপথ নিন ১০ বছর ঝগড়া করব না।
দার্জিলিং : মঙ্গলবারও পাহাড়ে গিয়ে জনসংযোগ সারলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে ব্যবসায়ী-সবার সঙ্গে কথা বললেন তিনি। কোথাও কোলে তুলে নিলেন শিশুকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পেয়ে আল্পুত সকলে। সেই সঙ্গে তিনি পাহাড়বাসীকে আশ্বাস দিলেন, রাজ্য সরকারের সবরকম সুবিধেই তাঁরা পাবেন। মঙ্গলবার দার্জিলিং (Darjeeling)-এ জনসভায় তিনি বলেন, ২০ বছর ধরে দার্জিলিঙে পাট্টা দেওয়া হয়নি, এখন আমরা পাট্টা দেওয়া শুরু করছি’ ।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি :
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, শৈলশহরের ৩ লক্ষ ৮০ হাজার চা শ্রমিকের জন্য নতুন বাড়ি। এছাড়াও ২১ লক্ষ বিধবাকে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। আরও ১০ লক্ষ পড়ুয়ার জন্য সরকারের তরফ থেকে দেওয়া হবে ক্রেডিট কার্ড (Credit Card )। স্বাস্থ্যসাথী (Swastha Sathi) না পেলে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের সাহায্য নিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দার্জিলিঙে হিল ইউনিভার্সিটি
দার্জিলিঙের বাসিন্দাদের জন্য আরও একগুচ্ছে ভাল ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, শৈলশহরে হিল ইউনিভার্সিটি গড়ে তোলা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘দার্জিলিঙ এখন হাসছে, পর্যটকরা আসছেন, সমস্ত হোটেল ভর্তি’। সোমবারই প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে ব্যবসায়ী-সবার সঙ্গে কথা বললেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দার্জিলিঙে খুব তাড়াতাড়ি হবে জিটিএ নির্বাচন’। বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, ‘দার্জিলিঙ যখনই হাসে, তখনই একটি রাজনৈতিক দল এসে উল্টোপাল্টা বলে ভোট নিয়ে যায়’। সেই সঙ্গে পাহাড়বাসীকে তিনি বলেন, ‘দিল্লির লাড্ডু খাবেন না, দার্জিলিঙের লাড্ডুই অনেক’।
আরও পড়ুন :
Bharat Bandh enters day 2 : বামেদের ডাকা ধর্মঘটের আজ দ্বিতীয় দিন, বাঘাযতীনে মিছিল, জেলায়-জেলায় লাল নিশান
আরও প্রতিশ্রুতি :
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভোটের আগে বলেছিলাম লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড করব, করেছি’। কেন্দ্রীয় সরকারকে খোঁচা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আর এরা পেট্রোল-ডিজেল-গ্যাস-কেরোসিনের দাম বাড়াচ্ছে। বাংলাকে এরা কেউ ভালবাসে না। আগুন জ্বালিয়ে এরা বাংলার বদনাম করতে চাইছে। উত্তরপ্রদেশের ভোটে জিতেই বারবার করে পেট্রোল-ডিজেল-গ্যাসের দাম বাড়াচ্ছে’ । ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গে টেনেও কেন্দ্রীয় নীতির কড়া সমালেচনা করেন তিনি। বলেন, ইউক্রেনে যুদ্ধ চলায় ফিরে এসেছেন ১৭ হাজার ভারতীয় পড়ুয়া। দেশে ওদের পড়া শেষ করার ব্যবস্থা করা হোক। রাজ্যকে এর জন্য অনুমতি দেওয়া হোক। কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘শুধু বিরক্ত কর, নিজেরা আগুন লাগাও আর তেল-গ্যাসের দাম বাড়ানো ভুলিয়ে দাও।
এটাই ওদের স্ট্র্যাটেজি’ ।
পাহাড়কে বার্তা
পাহাড়বাসীকে তিনি বলেন, ‘চা বাগানের আয় বাড়াতে বাগানের মধ্যে হোম স্টে খোলার অনুমতি দিয়েছি’। পাহাড়ে সবাইকে এককাট্টা হওয়ার ডাক দিয়ে তিনি বলেন, শপথ নিন ১০ বছর ঝগড়া করব না। তখন দেখবেন দার্জিলিং, কালিম্পং , কার্শিয়ঙের কী উন্নতি হয়’ ।