Mamata Banerjee: ‘কাঁচা বাদামে কত কত নাচ-গান হয়েছে’! চা-ঘুগনি বিতর্কের মধ্যেই প্রশ্ন তুললেন মমতা
Jago Bangla: চায়ে পে চর্চা নিয়ে কেন কথা হয় না, প্রশ্ন তোলেন মমতা।
কলকাতা: পুজোর সময় চা-ঘুগনি বিক্রির কথা বলে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। খাস বিধানসভার বাইরে মুড়ি-ঘুগনির পসরা নিয়ে বসে যান বিজেপি বিধায়করা। সেই নিয়ে এ বার মুখ খুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি জানালেন, তিনি ব্যক্তগিত মতামত জানিয়েছিলেন মাত্র। কিন্তু তাঁর সেই মন্তব্য নিয়ে নানা বিকৃত কথা বলা হচ্ছে।
জাগো বাংলার অনুষ্ঠানে বিরোধীদের নিশানা মমতার
রবিবার মহালয়ার (Mahalaya) দিন বিশেষ উৎসব সংখ্যা প্রকাশ করল তৃণমূলের মুখপত্র 'জাগো বাংলা' (Jago Bangla)। সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন সুখেন্দুশেখর রায়, কুণাল ঘোষ, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, অদিতি মুন্সিরা। সেখানেি চা-ঘুগনি বিতর্ক নিয়ে মুখ খোলেন মমতা। তিনি বলেন, "ইদানীং লক্ষ্য করছি, যদি নিজস্ব মতামতও দিই, সেখানেও নানারকম বিকৃতি কথা বলা হচ্ছে। চায়ে পে চর্চা হোনে সে বাত নেহি হোতা। আর যদি বলা হয়, তুমি নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য কাঁচা বাদাম, পাকা বাদাম, কত নাচ গান গেয়েছেন, তা মানুষ যদি সমর্থনই না করত, তাহলে এগুলো হল কোথা থেকে? পাপ্পু দ্য গ্রেটরা যখন যা ইচ্ছে, তখন তাই বলে।"
এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে 'পাপ্পু' বলে কটাক্ষ করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে বলতে শোনা যায়, "ভারতবর্ষের সবচেয়ে বড় ‘পাপ্পু’র নাম হচ্ছে অমিত শাহ। তার কারণ, বিরোধীশূন্য ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায়।" এর পর তৃণমূলের তরফে অমিত শাহের ছবি সমেত পাপ্পু লেখা টি-শার্ট তৈরি করে প্রচার শুরু করা হয়। এ দিন মমতার মুখেও উঠে এল 'পাপ্পু' কটাক্ষ।
এ দিনের অনুষ্ঠানে সিপিএম-কেও একহাত নেন মমতা। তাঁর বক্তব্য, "আপনারা আমাদের গাল দিন, কিছু যায় আসে না। শুভ মহালয়ার দিনে মায়ের কাছে কামনা করব, দেবী যেন সকলকে ভাল রাখেন। যাঁরা এগুলো করছেন, আরও বেশি করে করুন। তার পরও শান্তিতে ঘুমোতে পারলে ঘুমোবেন। আমরা প্রতিহিংসা পরায়ণ নই। বদলা নয়, বদল চাই বলেছিলাম বলেই ৩৪ বছরের কাউকে গ্রেফতার করিনি। অনেক কর্মকাণ্ড থাকা সত্ত্বেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।"
বিজেপি, সিপিএম-কে একযোগে আক্রমণ মমতার
বিজেপি-কে নিশানা করে মমতা বলেন, "কেউ ধোওয়া তুলসিপাতা নয়। যারা দিল্লিতে বসে আছে, ওটা দিল্লিকা লাড্ডু। যে খায়, সেও পস্তা, না খেলেও পস্তায়। মনে রাখবেন, তাদের মাথার ওপরে চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, তারার মতো নানা রকম এজেন্সি বসে আছে। চোখে দেখেও দেখতে পায় না। অত্যন্ত দুঃখের কথা। মা সকলকে শক্তি দিন।"