Mamata Banerjee: 'লোকসভায় নেতৃত্বের জন্য অভিষেককে দায়িত্ব দেওয়ার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলীয় সাংসদরা' : মমতা
TMC News: এদিনই তৃণমূলের 'চিফ হুইপে'র পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ঘোষণা করলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

কলকাতা : "আমাদের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায় অসুস্থ এবং তাঁর চিকিৎসা চলছে। এই পরিস্থিতিতে দলীয় সাংসদরা যতদিন না সুদীপ দা সুস্থ হয়ে উঠছেন, ততদিন লোকসভায় নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমরা সুদীপ দা-র দ্রুত আরোগ্য কামনা করি এবং সংসদীয় বিষয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা ও গভীর জ্ঞানের জন্য তাঁর পথনির্দেশনার অপেক্ষায় থাকব।" দলের লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মিটিংয়ের পর এক্স হ্যান্ডেলে এই পোস্ট করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
I convened a virtual meeting today with all @AITCofficial MPs from both the Lok Sabha and Rajya Sabha. Given that our Lok Sabha leader, Shri Sudip Bandyopadhyay, is unwell and undergoing medical treatment, the MPs have unanimously decided to entrust Shri Abhishek Banerjee with…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) August 4, 2025
বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে তৃণমূলের সংসদীয় দলে নাটকীয় পরিবর্তন । অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা নিযুক্ত করলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় । আর এদিনই তৃণমূলের 'চিফ হুইপে'র পদ ছাড়ার ঘোষণা করলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। উগড়ে দিলেন ক্ষোভ। ঝরে পড়ল অভিমান। কল্যাণ বললেন, "দিদির বক্তব্য হচ্ছে লোকসভায় কোঅর্ডিনেশন ঠিকমতো হচ্ছে না। তাইজন্য আমি ইস্তফা দিলাম। মমতাদিই দল চালাক। মমতাদিই ভালো করে চালাক। কেউ থাকেন না হাউসে। আমি দেখব এসএসসি, আমি দেখব ওবিসি, আমাকে সাড়ে ১০টা থেকে পার্লামেন্টে থাকতে হবে এটা তো হয় না।"
কল্য়াণ বন্দ্য়োপাধ্য়ায় মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের দীর্ঘদিনের সঙ্গী। চার বারের সাংসদ। তৃণমূল কিংবা তৃণমূল সরকারের হয়ে বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলা লড়েছেন। কিন্তু বেশ কয়েক মাস হল তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক অত্য়ন্ত খারাপ । যদিও, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব মহুয়ার বিরুদ্ধে কোনও ব্য়বস্থা নেয়নি। তাতে যে তিনি ক্ষুব্ধ, তা যেমন স্পষ্ট করে দিয়েছেন কল্য়াণ বন্দ্য়োপাধ্য়ায়, তেমনই দলের একাধিক সাংসদের সংসদে গরহাজির থাকা নিয়েও বিস্ফোরক মন্তব্য় করেছেন। তিনি বলেছেন, "কারা আসে, কারা আসেন না...দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ, ভাবা যায়, দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ কখনো লোকসভায় থাকেন না। আজ ৫-৭ বছর হয়ে গেল একটাও স্পিচ নেই, আর দোষ আমার ? মমতাদি আমার দোষ দেখতে পারেন, অন্য কারো দোষ দেখতে পারেন না।" অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের পদোন্নতি, একই দিনে কল্য়াণ বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের ইস্তফা ঘোষণা। আর তারপরই তৃণমূলের সদ্য় পদত্য়াগ ঘোষণা করা চিফ হুইফের দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য়। ভোটের আগে বিরোধীদের হাতে নতুন হাতিয়ার।
ভোটের আগে ঘরোয়া কোন্দল প্রকাশ্য়ে। এবার কী করবে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব?






















