Mamata Banerjee: 'ওয়ার্ডে সতর্ক থাকতে হবে রোগীদের, SSKM-এ এত সিসি ক্যামেরা, কোথায় মনিটরিং?' নবান্নের বৈঠকে প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর
Mamata Banerjee SSKM: তিনি এও বলেন, 'একবার সাসপেন্ড হওয়ার পর অভিযুক্ত কীভাবে একই সংস্থায় ফের যোগ গিয়ে অন্য হাসপাতালে যেতে পারে?'

কলকাতা: শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ বলে পরিচয় দিয়ে নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন! SSKM কাণ্ডে, সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একের পর এক সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনা নিয়ে যখন তোলপাড়, এই নিয়েই এবার বৈঠকে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী।
পরপর বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অপরাধের ঘটনা নিয়ে রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষের সঙ্গে মুখ্যসচিবের বৈঠক হয়ে শনিবার। বৈঠক চলাকালীন ফোনে পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নের এই বৈঠকে হাজির জেলা শাসক ও পুলিশ সুপাররাও।
এদিন নবান্নের বৈঠকে একাধিক প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'SSKM-এ এত সিসি ক্যামেরা, কোথায় মনিটরিং? মনিটরিং হলে পুরুষ শৌচাগারে কী করে নিয়ে যাওয়া হল নাবালিকাকে? নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের আগে নজর দিক সংস্থাগুলি', বৈঠকে পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর।
তিনি এও বলেন, 'একবার সাসপেন্ড হওয়ার পর অভিযুক্ত কীভাবে একই সংস্থায় ফের যোগ গিয়ে অন্য হাসপাতালে যেতে পারে? ওয়ার্ডে সতর্ক থাকতে হবে রোগীদের, দরকারে সাবধান করতে হবে। পরিচয়পত্র দেখানো আবশ্যিক, এমনকি প্রিন্সিপাল-সুপারদের পরিচয়পত্র দেখাতে হবে', নবান্নের বৈঠকে এ সব নিয়ে হয়েছে আলোচনা হয়েছে।
এসএসকেএম-এর এই ঘটনায় বুধবার দুপুরের ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই অমিত মল্লিক নামে বছর ৩৪-এর ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত। কিন্তু কী করে সবার চোখে ফাঁকি দিয়ে, চিকিৎসকের ড্রেসে নাবালিকাকে নিয়ে শৌচাগারে গেলেন ওই যুবক? চিকিৎসকদের বিশেষ পোশাক তিনি পেলেন কীভাবে? উঠছে এমন অসংখ্য প্রশ্ন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত অমিত মল্লিক পেশায় নিরাপত্তারক্ষী। আগে কাজ করতেন কলকাতা পুলিশ হাসপাতালে। ২০২১ সালে বেসরকারি নিরাপত্তা এজেন্সি ERS-এর কর্মী হিসেবে কাজে যোগ দেন শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে। ২০২৫ সালের মার্চ মাসে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবেই ঢোকেন NRS হাসপাতালে। নার্সিং হোস্টেল এবং এমার্জেন্সি গেটে ডিউটি করতেন। কিন্তু বুধ ও বৃহস্পতিবার কাজে আসেননি। নিরাপত্তারক্ষীর ইউনিফর্ম পরেই বুধবার SSKM-এ ঢোকেন অমিত। ওই ইউনিফর্ম থাকার ফলে প্রাথমিকভাবে ট্রমা কেয়ারের গেটে তাঁকে কেউ আটকায়নি।
বুধবার চিকিৎসার জন্য এসএসকেএম-এর বহির্বিভাগে গিয়েছিল ওই নাবালিকা। তখনই ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ। অভিযোগ পেয়ে হাসপাতালের আউটপোস্টের কর্মীরা তল্লাশি শুরু করলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, নাবালিকাকে নিয়ে যাচ্ছেন, এক যুবক। যুবকের পরণে চিকিৎসকের নীল পাজামা, জামা ও হেড কভার। কিন্তু হাসপাতালের কেউ তাঁকে চিনতে পারেননি। এনিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করলে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালের এক কর্মী তাঁকে চিনতে পারেন। এছাড়া SSKM হাসপাতালের কোনও জায়গা থেকে ইউনিফর্ম জোগাড় করেছিলেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।






















