Manik Bhattacharya: ৫৮ হাজারের বেশি নিয়োগ, মানিকই চাকরি বিক্রির মাথা, দাবি ইডি-র
SSC Scam: তাদের দাবি, গোটা নিয়োগ দুর্নীতির মূল মাথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিকই। ১০ বছর পদে ছিলেন মানিক। ২০১১-র পর মানিকের আমলে ৫৮ হাজারের বেশি নিয়োগ হয়েছে।
![Manik Bhattacharya: ৫৮ হাজারের বেশি নিয়োগ, মানিকই চাকরি বিক্রির মাথা, দাবি ইডি-র Manik Bhattacharya is the kingpin in SSC Scam claims ED Manik Bhattacharya: ৫৮ হাজারের বেশি নিয়োগ, মানিকই চাকরি বিক্রির মাথা, দাবি ইডি-র](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2022/10/12/729daae4e5f50c327c6e78478ee0312a1665551460819338_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (Primary Education) প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। আদালতে হেফাজত পাওয়ার পর রাতভর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) তদন্তকারীরা। তার পর থেকে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে মানিককে নিয়ে। মানিকের আমলে ৫৮ হাজারের বেশি নিয়োগ হয়েছে বলে দাবি ইডি-র।
আদালতে মানিকের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ইডি-র
আদালতে মানিক সম্পর্কে এই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে ইডি। তাদের দাবি, গোটা নিয়োগ দুর্নীতির মূল মাথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিকই। ১০ বছর পদে ছিলেন মানিক। ২০১১-র পর মানিকের আমলে ৫৮ হাজারের বেশি নিয়োগ হয়েছে। ঠিক কী পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে, তা বোঝাতেই আদালতে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেন ইডি-র আইনজীবী। তিনা জানান, জেনেশুনেই মানিক বেআইনি ভাবে চাকরি দেওয়ার দুর্নীতির প্রতি ধাপে যুক্ত ছিলেন বলেও দাবি করা হয়। দুর্নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর, নির্দেশও দিতেন। তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্টেও প্রচুর টাকা জমা রয়েছে।
আরও পড়ুন: SSC Scam: রাতভর মানিককে জিজ্ঞাসাবাদ ইডি-র, তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ
আদালতে ইডি-র আরও জানায়, গত ২৭ জুলাই মানিকের বাড়ি থেকে যে সমস্ত নথি ও ডিজিটাল তথ্যপ্রমাণ বাজেয়াপ্ত হয়েছে, সেটি পরীক্ষা করে মিলেছে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বিপুল পরিমাণ টাকা নয়ছয় হয়েছে। টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রির মাথা মানিকই। ইডি-র রিম্যান্ড লেটারে এই তথ্য উঠে এসেছে, যার একটি কপি হাতে পেয়েছে এবিপি আনন্দ। ঘুষের টাকা একাধিক প্রভাবশালীর কাছে পৌঁছে যায় বলেও দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। মানিকের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপে যুক্ত থাকার সরাসরি প্রমাণ মিলেছে বলে জানানো হয়েছে।
রাতভর মানিককে জিজ্ঞাসাবাদ ইডি-র
মঙ্গলবার রাতভর মানিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। কিন্তু ইডি সূত্রে খবর, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না মানিক। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে ইডি-র হাতিয়ার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। তদন্তকারীদের নজরে মানিক ভট্টাচার্যর ফোন কলের ডিটেলস ও মেসেজও। ইডি সূত্রে দাবি, নিয়োগ নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও বিভিন্ন জেলার নিয়োগকারীদের সঙ্গে মেসেজ আদানপ্রদান হয়েছে মানিকের। প্রার্থী তালিকা তৈরি নিয়েও টেক্সট। এই সমস্ত তথ্য প্রমাণ সামনে রেখেই আজ মানিককে জেরা করতে চায় ইডি। খবর সূত্রের। পাশাপাশি, মানিকের মোবাইল ফোনে মেলা সন্দেহজনক দুটি নাম DD ও RK-র পরিচয় সম্পর্কেও জানতে চায় ইডি। খবর সূত্রের।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)