(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Manik Bhattacharya : আত্মীয়ের সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে ৮ কোটি ! কীভাবে? ED কে কী বললেন মানিক
কেন্দ্রীয় এজেন্সি দাবি করেছিল, প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের প্রাক্তন সভাপতির ছেলের নামেও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা রয়েছে ।
প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : ইডির ( ed ) নজরে এবার আত্মীয়ের সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট ( Joint Account ) । অ্যাকাউন্টে ৮ কোটি টাকার উত্স কী? কীভাবে এল এই বিপুল অঙ্কের টাকা ? উত্তরের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। গত ১১ তারিখ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি ও পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে ED। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দ্বিতীয় কোনও তৃণমূল বিধায়ককে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
ছেলের নামেও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২ কোটি !
আগেই কেন্দ্রীয় এজেন্সি দাবি করেছিল, প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের প্রাক্তন সভাপতির ছেলের নামেও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা রয়েছে । এছাড়া দাবি করা হয়, মানিকের কয়েকজন আত্মীয়ের সঙ্গেও জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে ।
জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে ৮ কোটি টাকার উত্স কী?
এই বিষয়ে প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করেছে ইডি। তবে মানিক নাকি, আত্মীয়ের সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের কথা প্রথমে অস্বীকারই করেন। ইডির অ্যাকাউন্টের নথি দেখানোর পর জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের কথা স্বীকার নেন মানিক। তবে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে ৮ কোটি টাকার উত্স কী? তা বলেননি নাকি তিনি। বলেন, জানি না ! খবর ইডি সূত্র্রে।
প্রেক্ষাপট
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি ও তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দায়ের করে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর দাবি করে ইডি। শুধু তাই নয় হলফনামায় মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে সম্পর্কেও চাঞ্চল্যকর দাবি করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তাদের দাবি, মানিক ভট্টাচার্যর ছেলে সৌভিকের ভূমিকা খতিয়ে দেখে, অপরাধমূলক পদ্ধতির মাধ্যমে বিপুল টাকা তোলার চক্র সামনে এসেছে। সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দায়ের করে ইডি দাবি করেছে। মানিক ভট্টাচার্য ১০ বছর পর্ষদের সভাপতি ছিলেন। এই সময়কালে ৫৮ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। ২২ জুলাই, মানিকের বাড়িতে তল্লাশি চালান হয়। সেখান থেকে এমন একাধিক নথি পাওয়া গেছে, যেখান থেকে প্রমাণিত হয় নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর যোগসূত্র। একাধিক ডিজিটাল নথিও উদ্ধার হয়েছে। এই সব নথি যাচাই করে, টাকার বিনিময়ে অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি বিক্রির বিষয়ে নিশ্চিত হয় ED।