Migrant workers: কাজের খোঁজে ফের ভিন রাজ্যে পাড়ি পুরুলিয়ার পরিযায়ী শ্রমিকদের
Purulia's Migrant workers are in search of work: পুরুলিয়ার (Purulia) পরিযায়ী শ্রমিকদের অভিযোগ, জেলায় কোনও কাজের সুযোগ নেই, অন্য রাজ্যে যেতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। তা নিয়ে তরজা তৃণমূল-বিজেপির (TMC-BJP)।
সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: পুজোর মরসুম শেষ হতেই কাজের খোঁজে আবার ভিন রাজ্যে পাড়ি দিতে শুরু করেছেন পুরুলিয়ার (Purulia) পরিযায়ী শ্রমিকরা Migrant Workers)। তাঁদের অভিযোগ, জেলায় কোনও কাজের সুযোগ না থাকয়, অন্য রাজ্যে যেতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। তা নিয়ে তরজায় জড়িয়েছে তৃণমূল-বিজেপি (TMC-BJP)।
“পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যেই থাকুন। বাংলাতেই যেন তাঁদের জন্য কাজের ব্যবস্থা করা হয়।’’ গত মাসে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে এমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। ওই ঘোষণার পর দুসপ্তাহও কাটেনি। পুরুলিয়া স্টেশনে দেখা গেল পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিড়।
উৎসবের মরসুম শেষ হতেই কাজের খোঁজে ফের ভিন রাজ্যে পাড়ি দিতে শুরু করেছেন শ্রমিকরা। কারও গন্তব্য বেঙ্গালুরু, কারও গন্তব্য চেন্নাই, কারও উত্তরপ্রদেশ। ঝালদার বাসিন্দা পরিযায়ী শ্রমিক ভূতনাথ কুমারের কথায়, “পুরুলিয়ায় কোনও কাজ নেই। তাই আমাদের বাইরে যেতে হচ্ছে। ’’
দুর্গাপুজোর আগে ছুটি নিয়ে ভিন রাজ্য থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন এই সব শ্রমিকরা। পুজো মিটতেই রুটিরুজির সন্ধানে আবার দূরদূরান্তে যেতে শুরু করেছেন তাঁরা। একাধিক শ্রমিক পরিবারের অভিযোগ, জেলায় কাজের সুযোগ নেই। আরেক পরিযায়ী শ্রমিক মানব মুদির কথায়, আমরা এসে থেকে বেকার বসে আছি। বাচ্চাদের পুজোয় কোনও জামাকাপড়ও দিতে পারিনি। পরিবারের হাতে টাকাপয়সা দিতে পারিনি।
পুরুলিয়ার ঝালদা মহকুমায় প্রায় ৩০০টি গ্রাম রয়েছে।স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতিটি গ্রাম থেকে গড়ে প্রায় ৪ জন করে পরিযায়ী শ্রমিক ভিন রাজ্যে যাচ্ছেন। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। জেলা বিজেপির সম্পাদক বিবেক রাঙ্গা বলেন, “যে রাজ্যে উন্নয়ন থাকবে না. সেই রাজ্যে কাজ পাওয়া মুশকিল আছে। বাংলা একদম স্তব্ধ হয়ে আছে। এখানে কিছুই কাজ নেই। এখানে রাজ্য সরকারের যে সব প্রকল্প আছে, ঢপ প্রকল্প।’’
তৃণমূল নেতা তথা পুরুলিয়া জেলা পরিষদ সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, “আমাদের এখানে যাঁরা স্কিলড লেবার আছেন, তাঁরাই যাচ্ছেন। তাঁদের সঙ্গে কিছু এমনি শ্রমিকও যাচ্ছেন। আমাদের জেলায় কলকারখানা নেই। টাটা কোম্পানির সঙ্গে কথা বলছি এদের জন্য কিছু করা যায় কিনা। চেষ্ঠা চালাছি কীভাবে নিযুক্ত করা যায়। আগে যেমন কাতারে কাতারে লোকজন যেত এখন অনেক কমে গিয়েছে।’’