Sadhn Pande Last Rites: বিমানবন্দরে দীর্ঘদিনের সতীর্থকে শেষ শ্রদ্ধা সুজিত, অতীনের, আজ সাধন পাণ্ডের শেষকৃত্য
গোয়াবাগানের পৈত্রিক বাড়ি ঘুরে বিধানসভায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন বিধায়করা। এরপর নিমতলা শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
কলকাতা: আজ সাধন পাণ্ডের শেষকৃত্য। আজ সকাল সাড়ে ৮ টা নাগাদ পিস ওয়ার্ল্ড থেকে সাধন পাণ্ডের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে কাঁকুড়গাছির বাড়িতে। সেখান থেকে গোয়াবাগানের পৈত্রিক বাড়ি ঘুরে বিধানসভায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন বিধায়করা। এরপর নিমতলা শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। গতকাল রাত সোয়া ১টা নাগাদ মুম্বই থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছয় সাধন পাণ্ডের মরদেহ। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ও মেয়ে। বিমানবন্দরে দীর্ঘদিনের সতীর্থকে শেষ শ্রদ্ধা জানান সুজিত বসু, অতীন ঘোষ, শশী পাঁজা, তাপস রায়-সহ তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকরা। এর পর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় পার্ক সার্কাসের পিস ওয়ার্ল্ডে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সোহম চক্রবর্তী ও মিমি চক্রবর্তী।
রবিবার সকালে মুম্বইয়ে জীবনাবসান হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন রাজ্যের এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। তাঁর প্রয়াণে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়াত মন্ত্রী সাধন পাণ্ডেকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য ২১ ফেব্রুয়ারি, সোমবার দুপুর ২টোর পর বন্ধ থাকবে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত রাজ্য সরকারি অফিস। এই নির্দেশ কার্যকর হবে রাজ্য সরকারের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পঞ্চায়েত, পুরসভার ক্ষেত্রেও। রাজ্য সরকারের অধীনস্ত সব প্রতিষ্ঠানও সোমবার দুপুর ২টোর পর বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করেছে নবান্ন।
দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে (Sadhan Pande)। সামলেছেন রাজ্যের ক্রেতাসুরক্ষা দফতর। উত্তর কলকাতার বটতলা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে টানা ৬ বার জিতেছেন। ২০১১ থেকে মানিকতলা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন তিনি। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে ছিলেন সাধন পাণ্ডে। ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে ভোটের ময়দানে ছিলেন তিনি। জয়ও এসেছিল। কিন্তু তারপর থেকে অসুস্থতার কারণে রাজনীতি থেকে দূরেই ছিলেন তিনি। দলীয় সূত্রে খবর, মুম্বই থেকে রবিবারই নিয়ে আসা হচ্ছে সাধন পাণ্ডের মরদেহ। রাতে সাধন পাণ্ডের মৃতদেহ রাখা থাকবে পিস হাভেনে। সোমবার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
গত বছরের মাঝামাঝিও অসুস্থ হয়েছিলেন মন্ত্রী। ২০২১-এর জুলাই নাগাদ ভেন্টিলেশনে ছিলেন মানিকতলার বিধায়ক সাধন পাণ্ডে। তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ ছিল। রক্তচাপ ও অনিয়মিত হার্টবিটের সমস্যা নিয়েও ভুগছিলেন মন্ত্রী। বাবার আরোগ্য কামনায় সেবার মন্দিরে পুজো দেন মেয়ে শ্রেয়া পাণ্ডে। রাজ্যের বাইরে থাকেন সাধন পাণ্ডের মেয়ে। বাবার অসুস্থতার খবর পেয়েই কলকাতায় ফিরেছিলেন তিনি।