Mithun Chakraborty:“কে বলতে পারে এখানেও তেমনটা হবে না!’’ উদ্ধব সরকারের পতন নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য মিঠুনের
Mithun Chakraborty on West Bengal: এবার বাংলায় বসে মিঠুন চক্রবর্তীর মুখে মহারাষ্ট্রের সেই পট পরিবর্তনের প্রসঙ্গ উঠে এল। তার মানে কি বাংলাতেও মহারাষ্ট্রের ছায়া পড়তে পারে বলে ইঙ্গিত দিলেন তিনি?
শিবাশিস মৌলিক ও কৃষ্ণেন্দু অধিকার, কলকাতা: মহারাষ্ট্রে (Maharastra) উদ্ধব ঠাকরে সরকারের পতন নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে, তিনি বলেন, “কে বলতে পারে এখানেও তেমনটা হবে না!’’ তৃণমূলের (Trinamool Congress) গলায় অবশ্য এনিয়ে পাল্টা কটাক্ষের সুর শোনা গেছে।
ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য মিঠুন চক্রবর্তীর: গতকাল অভিনেতা ও বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, “কিছুদিন আগেই ঘুম থেকে উঠে দেখলাম মহারাষ্ট্রে সরকার গড়েছে শিব সেনা আর বিজেপি। কে বলতে পারে এখানেও তেমনটা হবে না! স্বচ্ছ নির্বাচন হলে কালই বিজেপি বাংলায় সরকার গড়বে।’’ পাল্টা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া, “উনি মাঝে মধ্যে কোনও কারণে শহরে আসেন। কখনও কখনও প্রচারের আলোয় ভেসে ওঠার শখ হয়। তিনি অনেক কথাই বলে থাকেন। এক বছরের মধ্যে আবার ভোট? ভাবছেন কী মশাই?’’
গত আড়াই বছর ধরে মহারাষ্ট্রে শিবসেনা-এনসিপি ও কংগ্রেসের জোট সরকার চলছিল। তারপর হঠাৎই একদিন একনাথ শিণ্ডে সহ শিবসেনার সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়ক বিদ্রোহ করেন। বিজেপি শাসিত গুজরাত, অসম, গোয়া হয়ে যখন তাঁরা মহারাষ্ট্রে ফেরেন, ততক্ষণে বিরোধীদের জোট সরকার পড়ে গেছে। উদ্ধব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রীর আসন ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। তারপর বিজেপি ও একনাথ শিণ্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা ক্ষমতা দখল করে। এবার বাংলায় বসে মিঠুন চক্রবর্তীর মুখে মহারাষ্ট্রের সেই পট পরিবর্তনের প্রসঙ্গ উঠে এল। তার মানে কি বাংলাতেও মহারাষ্ট্রের ছায়া পড়তে পারে বলে ইঙ্গিত দিলেন তিনি? এই প্রেক্ষাপটে আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “ওরা ভাবছে, মহারাষ্ট্র ভেঙেছি বাংলাকেও ভাঙব৷ বাংলাকে ভাঙা এত সহজ নয়।’’
২৯৪ আসন বিশিষ্ট বঙ্গ বিধানসভ্যায় ম্যাজিক ফিগার ১৪৮। বর্তমানে বিধানসভায় তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ২১৭। তার সঙ্গে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেওয়া ৫ বিধায়ককে যোগ করলে সংখ্যাটা দাঁড়ায় ২২২। সেক্ষেত্রে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা দাঁড়াবে ৭০। মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, “নির্বাচনের ফলাফলের পর সত্যিই খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। যারা দল ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছে, তাদের জন্যও কষ্ট পেয়েছি। খারাপ লেগেছে। এখনও বলছি যদি আরও কেউ যেতে চান, দয়া করে চলে যান।” গত বছর বিধানসভা ভোট হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ৫ বছর বাদে, অর্থাৎ ২০২৬ সালে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা।