Purulia News: ক্যানসার আক্রান্ত রোগী, জটিল অস্ত্রোপচারে নজির পুরুলিয়া মেডিক্যালে
Purulia Medical College:পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলে জটিল অস্ত্রোপচার। রোগী সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: জটিল অস্ত্রোপচার করে নজির গড়লো পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্যের ব্যাধির চিকিৎসা এবার পুরুলিয়া জেলায়। এনআরএস, আরজিকর বা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ-এর মতো কলকাতার সরকারি মেডিক্যাল কলেজে (Purulia Medical College) উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা তো পাওয়া যায়ই। সেই রকমই উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা এবার পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেও।
পুরুলিয়ার বরাবাজর থানা এলাকার ভালুকডুংরি গ্রামের গীতারানি মান্ডির কয়েক বছর আগে অ্যাপেন্ডিসাইটিস অপারেশন হয়। নিয়ম অনুযায়ী ওই জায়গার নমুনার বায়োপ্সি করানো হয়েছিল। সেই পরীক্ষায় নাকি ক্যান্সার ধরা পড়েছিল। কিন্তু সেই রিপোর্টের (cancer treatment in Purulia Medical College) কথা গোপন রেখেছিল গীতারানি মান্ডির পরিবার। তার কিছুদিন পর থেকেই শুরু হয় সমস্যা। সমস্যা বাড়াবাড়ি হতেই এদিক-ওদিক চিকিৎসার জন্য ছুটোছুটি করছিল রোগীর পরিবার।
ঝাড়খণ্ডের বোকারোতে ও বিভিন্ন হাসপাতালে ছোটাছুটি করা হয়। কিন্তু তাতে লাভের লাভ কিছুই হয়নি। উল্টে বহু টাকা খরচ হয়েছিল ওই পরিবারের। শেষ পর্যন্ত পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের দ্বারস্থ হয় রোগীর পরিবার। হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক (Cancer Operation) সব দেখে দ্রুত অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো প্রস্তুতি নেওয়া হয়। পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ২১ মার্চ ল্যাপারোস্কোপি সার্জারি হয়। পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলে জটিল অস্ত্রোপচার। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের পরে তিনি সুস্থ আছেন কয়েকদিন পরেই বাড়ি ফিরবেন গীতারানি মান্ডি।
রোগীর আত্মীয় জানকী মান্ডি বলেন, 'আগে এই রোগ হল। তারপরে আবার এমন রোগ হল। আমরা তো বুঝতেই পারছিলাম না। মানুষটাকে ভাল করতে পারব কিনা। এত টাকা তো নেই। তারপর এদিক-ওদিক করে ১০ হাজার টাকা জোগাড় করে বোকারো পাঠালাম। ওখানে বলল হবে না। তারপর এদিক-ওদিক যোগাযোগ করেছিলাম কিছুই বুঝছিলাম না। তারপর পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজেই অপারেশন হল। অপারেশনটা ভাল হয়েছে। ও তো খাবারও খেল। খুবই চিন্তায় ছিলাম।'
পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক পবন কুমার মণ্ডল বলেন, 'রোগী গীতারানি মান্ডির ৩০ বছর বয়স। ওঁর ২ বছর আগে এই হাসপাতালেই অ্যাপেন্ডিক্স অপারেশন হয়। তখনই হিস্টো প্য়াথলজি পরীক্ষা করা হয়েছিল। রোগীর পরিবার সেই রিপোর্ট জানাননি। পরে রোগীর আবার পেট ব্য়থা হয়। সেই অবস্থাতেই উনি আবার আমাদের কাছে আসেন। তারপর আমরা রিপোর্ট দেখে বুঝতে পারি ক্যান্সার ছিল। তারপর আবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। দেখা যায় টিউমার রয়েছে। তখন তাঁকে ভর্তি করে যাবতীয় পরীক্ষা করে যে অস্ত্রোপচার দরকার সেটাই করা হয়েছে। উনি এখন ভাল রয়েছেন। দু-একদিনের মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হবে।' ওই চিকিৎসক আরও জানান যে, পুরুলিয়া প্রান্তিক জেলা। এখানে এই মেডিক্যাল কলেজ হয়েছে। এখানেও আধুনিক চিকিৎসার মাধ্যমে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: সাধ্যের মধ্যে বিলাসবহুল EV! সিঙ্গল মোটর মডেল আনল Volvo