Whooping Cough: ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে একাধিক, ফিরছে হুপিং কাশি? উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা
kolkata News: বাড়ির খুদে সদস্যের কি ঠান্ডা লেগেছে? কিছুতেই সারছে না? একটানা কাশি হয়েই চলেছে? অ্যান্টিবায়োটিক থেকে শুরু করে সব ওষুধ খাওয়ালেও কি সর্দি-কাশি ফিরে আসছে?
সন্দীপ সরকার, কলকাতা: আবার ফিরছে হুপিং কাশি (Whooping Cough)? বাঁকুড়ার (Bankura) ইন্দাসের বাসিন্দা এক বালিকা থেকে শুরু করে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি আরও কয়েকজনের শরীরে ধরা পড়েছে ব্যাকটেরিয়াজনিত এই সংক্রমণ। যা ইতিমধ্যেই উদ্বেগ বাড়িয়েছে চিকিৎসকদের।
ফিরছে হুপিং কাশি: বাড়ির খুদে সদস্যের কি ঠান্ডা লেগেছে? কিছুতেই সারছে না? একটানা কাশি হয়েই চলেছে? অ্যান্টিবায়োটিক থেকে শুরু করে সব ওষুধ খাওয়ালেও কি সর্দি-কাশি ফিরে আসছে? এইসব সমস্যার সম্মুখীন হলে এখনই সাবধান হন। সন্তান হুপিং কাশিতে আক্রান্ত নয় তো? কারণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফের ফিরে আসছে হুপিং কাশি। সম্প্রতি বাঁকুড়ার ইন্দাসের বাসিন্দা, বছর এগারোর এক বালিকাকে জ্বর সর্দি কাশি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে ভর্তি করা হয় পার্ক সার্কাসের ইন্সটিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে! পরীক্ষা করে দেখা যায়, ইন্দাসের বাসিন্দা এই বালিকা হুপিং কাশিতে আক্রান্ত হয়েছে। আর তা থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে ফুসফুসে। টানা ১৭ দিন ভর্তি থাকার পর, এখনও জ্বর কমেনি বালিকার।
একটা সময় ছিল, যখন হুপিং কাশি নামটা শুনলেই ভয়ের উদ্রেক হত! এর সঙ্গে লড়াই করতে ১৯৭৮ সালে দেশে শুরু হয় DTP। অর্থাৎ Diptheria-Tetanus-Pertussis triple-antigen-এর ভ্যাকসিনেশন। বর্তমানে সদ্যোজাতদের এই ভ্যাকসিন প্রথম দেওয়া হয় জন্মের দেড় থেকে দু মাসের মধ্যে। তারপর, ৪ মাস, ৬ মাস ও ১৮ মাস বয়সে এই ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়। বিশেষজ্ঞদের দাবি, DTP ভ্যাকসিনেশন চালুর পরের কয়েকদশক এই Pertussis বা হুপিং কাশির সমস্যা অনেক কমে গিয়েছিল। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে গোটা বিশ্বজুড়েই ফের তা বাড়তে শুরু করেছে!
বাঁকুড়ার ইন্দাসের এই বালিকার পাশাপাশি বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি এক কিশোরের শরীরেও ধরা পড়েছে হুপিং কাশি। আনন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালেও ১৫ বছরের এক কিশোরের শরীরে এই ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান মিলেছে।কিন্তু কেন ফের প্রকোপ বাড়ছে এই ব্যাকটেরিয়ার? বিশেষজ্ঞদের মনে করছেন, হয় এই ব্যাকটিরিয়া নিজের চরিত্র বদলে ফেলেছে, সেই জন্য ভ্যাকসিন দিলেও তা আর কার্যকরী হচ্ছে না। অথবা, ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা হ্রাস পাচ্ছে।
শুধু বাচ্চারাই নয়, এই হুপিং কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছেন বড়রাও। এই পরিস্থিতিতে একটানা কাশি, কাশির সময় 'হুপ হুপ' শব্দ, কাশতে কাশতে বমি হওয়া, শ্বাসকষ্ট, নাক দিয়ে জল পড়া, জ্বর ক্লান্তি ভাবের মতো উপসর্গ দেখলেই চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সময় থাকতে থাকতেই সতর্ক হতে বলছেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: Locket Chatterjee: 'চড় মারলে আপনারাও ছাড়বেন না, চার-পাঁচটা আপনারাও দিন' হুঙ্কার লকেটের