KMC Notice: সন্তোষপুর এলাকায় মশার বাড়বাড়ন্তের অভিযোগ, পুরসভার তরফে জারি নোটিশ
KMC Notice: ন্যাশনাল ভেক্টর বোর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামে রাজ্য সরকারের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী,গত জানুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত - প্রথম ৪ মাসে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ২৩৯।
আবির দত্ত, কলকাতা: ডেঙ্গির (Denfue) চোখরাঙানির মধ্যেই কলকাতার (Kolkata) সন্তোষপুর (Santoshpur) এলাকায় মশার বাড়বাড়ন্তের অভিযোগ। নোংরা জলাজমি থেকে মশাবাহিত রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। সতর্ক করতে পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) তরফে দেওয়া হয়েছে নোটিশ।
মশার বাড়বাড়ন্তের অভিযোগ: করোনার প্রকোপ কমলেও, বর্ষার আগেই চোখ রাঙাতে শুরু করেছে ডেঙ্গি। উত্তরবঙ্গে কয়েকটি জেলায় ইতিমধ্যেই ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা দিয়েছে। দক্ষিণবঙ্গকে নিয়েও উদ্বেগ যাচ্ছে না। ন্যাশনাল ভেক্টর বোর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামে রাজ্য সরকারের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী,গত জানুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত - প্রথম ৪ মাসে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ২৩৯। এই পরিস্থিতিতে কলকাতার সন্তোষপুর এলাকায় মশার বাড়বাড়ন্তের অভিযোগ করছেন স্থানীয়দের একাংশ।
সন্তোষপুরের শিবতলা অঞ্চলের জমা জল, আবর্জনা আর আগাছায় মুখ ঢেকেছে নিচু জমি। এমন জায়গা যে মশার বাড়বাড়ন্তের জন্য একেবারে আদর্শ, সেকথা উল্লেখ করে কলকাতা পুরসভার তরফে সতর্ক করে দু-দুটি নোটিসও দেওয়া হয়েছে এলাকায়। একটা ১৪ মে আর একটা ৩০ মে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সন্তোষপুর এলাকায় যে জমি থেকে মশাবাহিত রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা বাড়ছে, পুরসভার নোটিসে সেই জমির মালিক হিসেবে নাম রয়েছে দিলীপ দাসের। তাঁর দাবি, আইনি জটিলতার কারণে জমি পরিষ্কার করাতে পারছেন না তিনি।
সন্তোষপুরের বাসিন্দা দিলীপ দাস বলেন, “জমি নিয়ে মামলা চলছে বলে কিছু করতে পারছি না। এটা আমার বাবার জমি ছিল। বাবা ভাইকে দিয়ে দিয়েছে। বাবা মারা গিয়েছে। ভাইও মারা গিয়েছে। দুটো ব্যাঙ্কে মর্গেজ নিয়েছে। তই কিচু করতে পারছি না।’’ কলকাতা পুরসভার ১১ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তারকেশ্বর চক্রবর্তী বলেন, “সত্যি তো। জমি এভাবে অপরিষ্কার থাকলে সমস্যা। মশা নিয়ে সাধারণ মানুষের আশঙ্কা থাকবেই। অবিলম্বে পরিষ্কার করার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নিজেরা না করতে পারলে পুরসভা করবে।’’ মশার উপদ্রব কমাতে আবর্জনা ও জমা জল সরিয়ে অবিলম্বে পরিষ্কার করা হোক এই জমি। দাবি করছেন স্থানীয়রা।