(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Moyna Murder Update: ময়নায় বিজেপি নেতা খুনে গ্রেফতার আরও ১
Purba Medinipur:ধৃতের নাম সুব্রত মণ্ডল, এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। ময়নায় বিজেপি নেতা খুনে ধৃত মোট ৪।
বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: ময়নায় বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনে গ্রেফতার আরও ১। ধৃতের নাম সুব্রত মণ্ডল, এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। ময়নায় বিজেপি নেতা খুনে ধৃত মোট ৪। বাকিদের জেরায় সুব্রত মণ্ডলের খোঁজ পায় পুলিশ। যদিও এফআইআরে নাম নেই সুব্রত মণ্ডলের। ১ মে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় খুন হন বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া । অপহরণ করে খুনের অভিযোগ পরিবারের। ৩৪ জনের নামে এফআইআর করে নিহত বিজেপি নেতার পরিবার। বিজেপির বুথ সভাপতিকে খুনের ঘটনায় প্রথমে গ্রেফতার হন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য মিলন ভৌমিক।
পরিবার সূত্রে খবর, তারা বিজয়কৃষ্ণের খুনে অভিযুক্ত সন্দেহে ৩৪ জনের নাম দিয়েছিল। এর মধ্যে ২৬ নম্বরে নাম ছিল মিলন ভৌমিকের। তিনি স্থানীয় তৃণমূল নেতা। এমনকি সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যও। পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, ঘটনার দিন বেশ কয়েকজন এসে নৃশংস ভাবে মারধর করে হত্যা করে বিজেপি করে। তাদের দাবি, যারা এটা করেছিল তাদের মধ্যে মিলনও ছিলেন। খুন, অপহরণ, সংঘটিত অপরাধ-সহ একাধিক ধারা দেওয়া হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার খুনের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছিল পুলিশের ভূমিকা। বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন তাঁর স্ত্রী। বলেন, "পুলিশ বলেছিল, এটা কি মামার বাড়ির আবদার নাকি? যা খুশি তাই। যখন খুশি ডাকবে, তখন চলে যেতে হবে ! জিডি-অভিযোগ কিছুই নেয়নি। বারবার বলার পরেও খুঁজতে আসেনি পুলিশ।' যদিও গুলিতেই বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে আদালতে গত কাল জানায় রাজ্য। স্ত্রী ও ছেলের সামনেই বিজেপির বুথ সভাপতিকে অপহরণ-খুনের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মৃত বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া বাকচায় বিজেপির ২৩৪ নম্বর বুথের সভাপতি ছিলেন। এদিকে গত কালই শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, পরিবারের অনুমতি ছাড়াই গতকাল জোর করে ময়নাতদন্ত করিয়েছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বিশেষ দল গঠন করে কলকাতার কমান্ড হাসপাতালে হবে ময়নাতদন্ত। রাজ্যের ২ ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ উপস্থিত থাকতে পারবেন। চাইলে থাকতে পারবেন পরিবারের সদস্যরাও। জানিয়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পরিবার ও ময়না থানাকে দেবে কমান্ড হাসপাতাল। তমলুক হাসপাতালে পরিবারকে দেহ দেখিয়ে অবিলম্বে রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তায় মৃতদেহ কলকাতায় নিয়ে আসতে হবে এবং ফেরত নিয়ে যেতে হবে। ৪ সপ্তাহের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় থাকবে পরিবার।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত মেদ ঝরানোর পর তা যেন আর ফিরে না আসে, নিজের খেয়াল রাখুন নিয়ম মেনে