(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Municipal Election 2022: দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই তুঙ্গে প্রচার, মেমারিতে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা সিপিএমের
Municipal Election 2022: ২৭ ফেব্রুয়ারি বাকি ১০৮টি পুরসভার ভোটগ্রহণের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের যে পুরসভাগুলিতে ভোট বকেয়া, সেই তালিকায় রয়েছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারিও।
কমলকৃষ্ণ দে, মেমারি: দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই পূর্ব বর্ধমানের (East Burdwan) মেমারি পুরসভা (Memari Municipality) এলাকায় তুঙ্গে প্রচার। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল সিপিএম (CPIM)। দেওয়াল লিখন করা থেকে বাড়ি বাড়ি প্রচার চালাচ্ছে তৃণমূলও। তৃণমূল-সিপিএমের তুলনায় প্রচারে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি। প্রার্থী পাচ্ছে না বিজেপি, কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
২৭ ফেব্রুয়ারি বাকি ১০৮টি পুরসভার ভোটগ্রহণের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের যে পুরসভাগুলিতে ভোট বকেয়া, সেই তালিকায় রয়েছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারিও। আর দিন ক্ষণ ঘোষণা হতেই, সেখানে শুরু হয়েছে প্রচারপর্ব। শোনা যাচ্ছে রাজনৈতিক স্লোগান। দেওয়াল দেওয়ালে ফুটে উঠছে রাজনৈতিক প্রতীক। যদিও, দিন ঘোষণার অপেক্ষা না রেখে মেমারি পুরসভা এলাকায় আগেভাগেই প্রচার ও দেওয়াল লিখন শুরু করেছিল তৃণমূল। বৃহস্পতিবারও, বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে তৃণমূলের তরফে দেওয়াল লিখন করতে দেখা যায়। চলে বাড়ি বাড়ি প্রচার। বৃহস্পতিবার, মেমারি পুরসভায় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে সিপিএম। দেওয়াল লিখনও করা হয়। জেলা সিপিএমের সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “প্রচার শুরু করেছি। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ওপর জোর দেব। দুর্নীতিমুক্ত পুরবোর্ড গঠন করব। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করছে আমাদের কর্মী। কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার বালাই নেই। ’’
তৃণমূল-সিপিএমের প্রচার তুঙ্গে, কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও একে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি। বিজেপির বর্ধমান সদর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, “প্রস্তুতি সারা। তৃণমূলের এক গোষ্ঠী অপর গোষ্ঠীকে টেক্কা দিতে এসব করছে। মানুষ ভোট দিতে পারলে বিজেপি জিতবে। এলাকার বাসিন্দারা সব দেখছেন বুঝছেন।‘’ যদিও, তৃণমূলের দাবি, প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না বিজেপি। জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, “প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না। তাই এসব বলে বাজার গরম করার চেষ্টা। প্রার্থীর নাম ঘোষণা হলে দেওয়া হবে।‘’
১৬টি ওয়ার্ড বিশিষ্ট মেমারি পুরসভায় শেষবার পুরনির্বাচন হয় ২০১৫ সালে। সেইবার ১১টি তৃণমূল, ২টি সিপিএম, ২টি নির্দল ও ১টি ওয়ার্ডে জয়ী হয় কংগ্রেস। একুশের বিধানসভা ভোটের প্রেক্ষিতে, মেমারি পুরএলাকায় ১৩টি আসনে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। সিপিএমকে পিছনে ফেলে ৩টি ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি।