Murshidabad News: ১০০ দিনের কাজের ৪ কোটি টাকা তছনছ! বহিষ্কৃত পঞ্চায়েত কর্মীর বাড়িতে ইডি
Murshidabad ED Raid:অভিযোগ ওঠে, একশো দিনের কাজের প্রায় চার কোটি টাকা তিনি নিজের ও তাঁর বোনের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে নেন।
রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: একশো দিনের কাজে দুর্নীতি মামলায় মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুরে (Berhampore) বহিষ্কৃত পঞ্চায়েত কর্মীর (Panchayat Worker) বাড়িতেও চলছে ED-র তল্লাশি-অভিযান। বেলডাঙা ১ নম্বর ব্লকের সুজাপুর-কুমারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক ছিলেন রথীন্দ্র দে। অভিযোগ ওঠে, একশো দিনের কাজের প্রায় চার কোটি টাকা তিনি নিজের ও তাঁর বোনের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে নেন। সরকারি তদন্তে তা প্রমাণিত হয়। সাসপেন্ড হয়ে যান পঞ্চায়েত কর্মী। এরপরই তিনি বেপাত্তা হয়ে যান। এর মাঝেই এলাকায় ফিরে আসেন বহিষ্কৃত পঞ্চায়েত কর্মী। কিন্তু টাকা উদ্ধার হয়নি। এদিন তাঁর বাড়িতেই হানা দিয়েছে ED।
এই বহিষ্কৃত পঞ্চায়েত কর্মীর বাড়ি থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে মনরেগা প্রকল্পের জেলা নোডাল অফিসার সঞ্চয়ন পানের ভাড়া বাড়ি। আজ সেখানেও হানা দিয়েছে ED। মুর্শিদাবাদে একশো দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৯-এর ৬ সেপ্টেম্বর বেলডাঙা ১ নম্বর ব্লকের তৎকালীন বিডিও বিরূপাক্ষ মিত্র বেলডাঙা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ ওঠে, বেলডাঙা ১ নম্বর ব্লকের সুজাপুর-কুমারপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ও নওদা ব্লকের দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক থাকাকালীন পঞ্চায়েত কর্মী রথীন্দ্র দে মনরেগা প্রকল্পের প্রায় চার কোটি টাকা নিজের ও তাঁর আত্মীয়, সহযোগীদের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেছেন। রথীন্দ্রর বোন ইতি চট্টোপাধ্যায়ের অ্যাকাউন্টে ১৭ লক্ষ ৭ হাজার ৪৫০ টাকা ট্রান্সফার করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। বেলডাঙা থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির 420/406/409/34 ধারায় দায়ের হয় FIR। পুলিশের পাশাপাশি, CID-ও তদন্তে নামে।সূত্রের খবর, ওই পঞ্চায়েত কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলেও, তাঁকে বহিষ্কার করেই দায় সারে প্রশাসন। কী কারণে তাঁকে ছাড় দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আরও পড়ুন, চোখের নিমেষে লক্ষ লক্ষ টাকার গয়না সাফ ! আবার হাড়হিম করা ডাকাতি
অন্যদিকে, এই প্রথম একশো দিনের কাজে দুর্নীতি মামলায় অ্যাকশনে নামল ED। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বকেয়া-বঞ্চনার অভিযোগে তৃণমূলের ধর্না চলাকালীন কলকাতা, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ-সহ চারটি জেলার ৬টি জায়গায় চলছে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে চলছে তল্লাশি। ED-র দাবি, ২০১৯, ’২০ এবং ’২১ সালে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা ও হুগলির ধনেখালি থানা মিলিয়ে মোট পাঁচটি FIR দায়ের হয়। তার ভিত্তিতে ECIR করে তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ED-র দাবি, কেন্দ্রের মনরেগা প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে। কোথাও ভুয়ো জব কার্ড, কোথাও ভুয়ো বিল, কোথাও জাতিগত শংসাপত্র জালিয়াতি করে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে একশো দিনের কাজের টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে। ED-র দাবি, দুর্নীতি-চক্রের মানি ট্রেল খুঁজতে গিয়ে একাধিক সরকারি আধিকারিকের নাম উঠে আসে। তার ভিত্তিতেই আজ চার জেলায় ৬টি জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে ED।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে