Murshidabad Medical College: 'বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগে এক-দেড় লক্ষ টাকা ঘুষ', দুর্নীতির অভিযোগে ফের সরব আখতার আলি
Corruption Allegation: যদিও টেন্ডার ডেকে বেসরকারি সংস্থাকে নিয়োগের বরাত দেওয়া হয়েছে, অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে, বলে আশ্বাস দিয়েছেন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ।
কলকাতা : এবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হলেন আখতার আলি। অভিযোগ, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগে এক লক্ষ থেকে দেড় লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়া হয়েছে। যদিও টেন্ডার ডেকে বেসরকারি সংস্থাকে নিয়োগের বরাত দেওয়া হয়েছে, অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে, বলে আশ্বাস দিয়েছেন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ।
আখতার আলি বলেন, " এটা পুরোপুরি দুর্নীতি মেনে (করে) টাকা-পয়সা দিয়ে লোক রাখা হয়েছে। ওদের অভিযোগ একজন অভিজিৎ ঘোষ আছেন...তাঁর সঙ্গে তাপস ঘোষ জড়িত। টাকা পয়সার লেনদেন অভিজিৎ ঘোষ করেন। টাকা দিতে হয়। ওরা কিছু প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। সেটা আমাকে দেখিয়েছে। টাকা-পয়সা নিয়েছে তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। চিঠিটা পেলাম। ডেপুটি সুপার হওয়ায় আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তথা অধ্যক্ষ এবং MSVP-র নজরে বিষয়টি এনেছি। কী অ্যাকশন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নেন তার অপেক্ষা করছি।"
এ প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালের অধ্যক্ষ অমিত কুমার দান বলেন, "নিয়ম অনুযায়ী টেন্ডার ডেকে আমরা এজেন্সি নির্বাচন করেছি। এজেন্সিকে বলা হয়েছে, একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী (মেল ও ফিমেল) আমাদের এখানে মোতায়েন করতে। আমাদের স্টাফ, স্টুডেন্টস, নার্সিং স্টাফ এবং রোগীর নিরাপত্তার জন্য। কীভাবে তারা মোতায়েন করবে সেই প্রক্রিয়া তো আমরা বলতে পারি না। চিঠি পেলে নিশ্চয়ই ভেন্ডারকে জানাব, এরকম ঘটনা আসছে। আপনারা ব্যবস্থা নিন। এক্ষেত্রে আমাদেরও সীমাবদ্ধতা হচ্ছে, তিনি কীভাবে নেবেন তাঁকে আমরা ডিকটেট করতে পারি না। কিন্তু, কেউ যেন টাকা না দেন। সবাই যদি এভাবে একযোগে টাকা দেব না বলেন, তাহলে তাঁরাও নিতে পারবেন না।"
আরজি কর-প্রসঙ্গ
আরজি কর মেডিক্য়াল কলেজের অন্দরে বেনিয়মের ঢালাও অভিযোগ ওঠে। মহিলা চিকিৎসর ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পরে থেকে ক্রমশ সামনে আসে একের পর এক অভিযোগ। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নেতৃত্বে অপরাধের একটি চক্র তৈরি হয়েছিল বলে অভিযোগ। অনেক আগেই আখতার আলি তথ্যপ্রমাণ দিয়ে একাধিক অভিযোগ সামনে এনেছিলেন। বিপজ্জনকভাবে বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য বিক্রি, টাকার বিনিময়ে বেআইনিভাবে চিকিৎসক-অফিসারদের বদলি, অযোগ্যদের কাজের বরাত, কোটি কোটি টাকা সরকারি অর্থের অপচয়, এরকমই ভুরি ভুরি অভিযোগ তুলে আর জি কর মেডিক্যালের তৎকালীন অধ্য়ক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে নানা জায়গায় অভিযোগ করেছিলেন প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নেমে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে সিবিআই।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।