Job Scam: ভুয়ো নিয়োগকাণ্ডের জের, আজ অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের মেডিক্যাল চেক আপ
Medical Checkup in Recruitment Scam: নিয়োগপত্র-র নথি 'জাল' করে বাবার স্কুলেই চাকরির অভিযোগ ওঠে। এবার অভিযুক্ত সেই প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারির আজ মেডিক্যাল চেকআপ।
রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ : নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) ফের বিস্ফোরক অভিযোগ এসেছে প্রকাশ্যে। নিয়োগপত্র-র নথি 'জাল' (Apointment Latter) করে বাবার স্কুলেই চাকরির অভিযোগ ওঠে। আর এরপরেই প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে পৌঁছে যায় সিআইডির আধিকারিকেরা। আর এবার সুতির গোঠা হাইস্কুলের অভিযুক্ত সেই প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারিকে আজ সকাল সাড়ে আটটায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসে সিআইডির আধিকারিকেরা। সেখানে তার চেক আপ হয়। এরপর তাকে নিয়ে জঙ্গিপুর কোর্টের দিকে রওনা দেন সিআইডির আধিকারিকেরা। জানা গিয়েছে, ১৪ দিনের রিম্যাণ্ডের জন্য আবেদন করা হবে।
নথি 'জাল' করে সিআইডি-র স্ক্যানারে প্রধান শিক্ষক
বাবা প্রধান শিক্ষক (Head Master), নথি 'জাল' করে একই স্কুলে ভুগোলের শিক্ষক (Geography Teacher) ছেলে। এমনই ভয়াবহ অভিযোগ ওঠে সম্প্রতি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। সুপারিশপত্র, নিয়োগপত্র 'জাল' করে বাবার স্কুলেই চাকরি, প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে সিআইডি (CID)। নথি জাল চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠতেই প্রধান শিক্ষকের (Headmaster) বাড়িতে যায় সিআইডি। অবৈধভাবে শিক্ষকতার চাকরি পাওয়ার অভিযোগে বেতন বন্ধের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট (High Court) ।
হাইকোর্টের নির্দেশে অভিযুক্তের বাড়িতে অভিযান সিআইডি-র
হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তে সিআইডি, অভিযুক্তের বাড়িতে অভিযান। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) গোঠা এ রহমান হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারি (Asish Tiwari)। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বহরমপুর (Baharampur) সিআইডি অফিসে পরিচালন সমিতির সদস্যদেরও তলব করা হয়। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের ভবনে তলবের পর ফের তলব করা হয়। প্রধান শিক্ষকের স্কুলেই।
আরও পড়ুন, DA ধর্নায় অসুস্থ ২ অনশনকারী, নেওয়া হল হাসপাতালে
নিয়োগ দুর্নীতিতে চাকরি বাতিল
সম্প্রতি গ্রুপ-ডি পদে চাকরি বাতিল হয়েছে ১ হাজার ৯১১ জনের। এই মামলায় ১ হাজার ৯১১ জন চাকরি প্রাপকের সুপারিশপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় অবিলম্বে প্রত্যাহারের বিজ্ঞপ্তি জারি করার জন্য কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আর এবার ১৯১১ জনের পর ২২৫০ জনের চাকরি যাচ্ছে। আর এবং গ্রুপ সি ইস্য়ুতে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, 'সবে তো শুরু। সব বিভাগে প্রায় ২৫ হাজার লোক টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে। অনেকে টাকা দিয়েও চাকরি পায়নি। এই যে বিরাট দুর্নীতি হয়েছে, এর একটা শেষ হওয়া উচিত। মাননীয় বিচারপতি ঠিক জায়গায় হাত দিয়েছেন। ওনার এভাবেই এগিয়ে চলা উচিত।'